বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
বেনাপোল চেকপোষ্টে বিজিবির হয়রানির শিকার সাংবাদিক রাসেল এর হাত কেটে রক্তরন
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
দেশের গুরুত্বপূর্ন প্রবেশদ্বার বেনাপোলের চেকপোষ্ট। এর সাথে জড়িয়ে আছে দেশের সন্মান মর্যাদাও ভাবমুর্তি। সেই প্রবেশদ্বার থেকে একশত গজের মধ্যে দুইবার বিজিবির হয়রানি শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারত থেকে ফেরার পথে বেনাপোলের সাংবাদিক মোঃ রাসেল ইসলাম। হয়রানির সময় তার ডান হাত কেটে প্রচুর রক্তরন ও হয়েছে । সে গ্লোবাল টিভি ও আজকের দর্পন পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি।
রাসেল ইসলাম (পাসপোর্ট নাম্বার বি ডাব্লিউ ০৩৭২৯০৫) অভিযোগ করে বলেন ভারত থেকে ফেরার সময় বেনাপোল চেকপোষ্টের প্রবেশদ্বারে রয়েছে বিজিবির একটি স্কানিং মেশিন। সেখানে স্কানিং করার পর বিজিবি তার ল্যাগেজ খুলে ফেলে। এরপর দেখে শুনে সময় পেন করে ছেড়ে দেয়। এরপর ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এর আনুষ্টানিকতা শেষে সে বাহিরে আসলে প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে তাকে বিজিবি আবার ল্যাগেজ খোলে। এসময় তার ল্যাগেজ দেখাতে যেয়ে ব্যাগের ভিতর থাকা আমছোলা কুরনিতে হাত কেটে যায়। প্রচুর রক্তরনও হয়। তারপরও নেমপ্লেড বিহিন একজন সিপাই তার ব্যাগ তল্লাশি করতে থাকে। কিছু না পেয়ে অবশেষে তাকে চলে যেতে বলে। রাসেল আরো বলেন কাস্টমস এর ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী ৪ শত ডলারের পণ্য ভারত থেকে একজন যাত্রী বহন করতে পারবেন। সে এনেছে মাত্র ৪ হাজার টাকার পণ্য। তাতে বিজিবির ওই সদস্যর মাথা গরম। আর ৪ শত ডলার এর পণ্য আনলে হয়ত তিনি দিক বিদিক হারা হয়ে যেতেন। বিজিবির হয়রানির শিকার সাংবাদিক রাসেল ইসলাম বলেন, পাসপোর্টের মাধ্যেমে না যেয়ে বাগানপোর্টে যাওয়া ভাল।
বেনাপোল চেকপোষ্টের জনৈক আবুল হোসেন বলেন, বিজিবি দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের হয়রানি করে থাকে। একই ব্যাগ বার বার খোলা ও বন্ধ করাতে দুর থেকে আসা যাত্রীরা কান্ত হয়ে পড়ে। যা অমানবিক। বিজিবি এরকম তল্লাশি করলে একশত গজের মধ্যে কেন কাস্টমস এর প্রয়োজন?
প্রত্যাদর্শী একটি পরিবহন এর দুই জন কর্মী নাম না বলার শর্তে বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্টের প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে বিজিবি সদস্যরা পাসপোর্ট যাত্রীদের হরহমেশা হয়রানি করে থাকে। আজ সাংবাদিক রাসেলকেও সেই একই কাজ করেছে। সে বার বার পরিচয় দেওয়া সত্বেও কোন কথা না শুনে বিজিবি তার ল্যাগেজের সকল পণ্য হাতড়াতে থাকে। এসময় রাসেল তার ব্যাগে হাত দিয়ে পণ্য বের করে দিতে গেলে হাত কেটে যায়। এবং সেখান থেকে প্রচুর রক্তরন হয়।
বিষয়টি জানার জন্য বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পে ফোন দিলে কেউ ফোন রিসিভ করে নাই।