বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
অগ্নিশিখা ডেস্কঃ আগামীকাল বিশ্ব ক্যানসার দিবস।তামাক ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ। ক্যানসার রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি।বিশ্ব ক্যানসার দিবসের প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে। এটি যত বিলম্বিত হবে ক্যানসারসহ তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যু ততই বাড়তে থাকবে”।
তামাকের ধোঁয়ায় প্রায় ৭,০০০টি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যার মধ্যে ৭০টি ক্যানসার সৃষ্টিকারী এবং এগুলো ফুসফুস, শ্বাসতন্ত্র এবং মুখের ক্যানসারসহ অন্তত ১২ ধরনের ক্যানসার সৃষ্টি করে থাকে। পরোক্ষ ধূমপানেও ক্যানসার হতে পারে। কেবল শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তামাক ব্যবহারজনিত ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) এর হিসেব অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালেই বিশ্বে ২ কোটি নতুন ক্যানসার রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং ৯৭ লক্ষ মানুষ মারা গেছে, যার মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধূমপানকে ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটির মতে, তামাক ব্যবহার পরিহারসহ অন্যান্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ক্যানসারে মৃত্যু ঝুঁকি ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আইএআরসি এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২২ সালে ক্যানসারে মৃত্যু সংখ্যা ১,১৬,৫৯৮। তামাক ব্যবহারের উচ্চ প্রবণতা এই মৃত্যু পরিস্থিতিকে আরো উদ্বেগজনক করে তুলছে। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে, ২০১৭ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ (৩৫.৩%) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৮১ লক্ষ মানুষ। গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় আড়াই কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে দেশে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়।