অগ্নিশিখা অনলাইন
- ৭ মে, ২০২৪ / ১৪৭ জন দেখেছে
শাহনেওয়াজ শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:-
নির্বাচনী প্রচারণাকালে সভায় অশালীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো.তাকজিল খলিফা কাজলকে এবং সরকারি অফিস ব্যবহার করে প্রার্থীর প্রচারনা করায় মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার মো.সাইফুল ইসলাম তাদের নামে ওই নোটিশ দেয় ।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আপনি জনাব আব্দুল মতিন, চেয়ারম্যান, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।আপনি দৈনিক কালের কণ্ঠ ৬মে ২০২৪ এ প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় পর্যায়ের সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে মেয়র, আখাউড়া পৌরসভা আনারস প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণাকালে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং জাগোনিউজ টুয়েন্টি ফোর.কম এ ০৭ মে ২০২৪ তারিখে প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মোঃ মনির হোসেনকে “কুলাঙ্গার” বলে সম্বোধন করেছেন যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ১৮ এর পরিপন্থি। আপনি মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করেন যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ০৬ এর পরিপন্থি। এমতাবস্থায়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ০৬ লংঘনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তাহা নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে আগামী ০৮ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নোটিশের সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার মো.সাইফুল ইসলাম বাণিজ্য প্রতিদিন প্রতিবেদককে জানান, ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় পৌর মেয়রকে এবং সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করায় ইউপি চেয়ারম্যান কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার (৬ মে) বিকেলে আচরণবিধি ভঙ্গ করে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সমর্থনে এক সভায় মেয়র অশালীন ভাষায় উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘এবার আর কোনো নয়ছয় নয়। আমরা দেখবো কোন ওয়ার্ডে কোন গ্রামে কে জামায়াত-বিএনপি ও এন্টি আওয়ামী লীগ। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করবো। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-বিএনপি করবে, দলের দুঃসময়ে থাকবে না সেটা তো মানা হবে না।’