মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
শাহনেওয়াজ শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা সড়কের গাজীর বাজার এলাকায় জাজী গাংয়ের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। যে কারণে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সড়কের ওই অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে প্রভাব পড়বে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে। বন্ধ থাকবে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীরবাজার এলাকায় বেইলি সেতুর বদলে নতুন পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ চলমান। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বিদ্যমান বিকল্প সড়কটি বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় সেখানে বেইলি সেতু স্থাপনের কাজ করার জন্য আগামী ১৬ মে রাত ১০টা থেকে ১৮ মে রাত ১০টা নাগাদ সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে। তাই জনসাধারণকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার এলাকার বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে সেখানে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার কাজ চলমান। এদিকে বেইলি ব্রিজ ভেঙে যান চলাচলের জন্য একটি বিকল্প সড়ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ওই বিকল্প সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ভারত থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে এলে বিকল্প সড়কটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সড়কের ওই অংশ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরের দূরত্ব আধা কিলোমিটারের মতো। বড় যানবাহন চলাচল করতে ওই সড়কটি বাদে আর বিকল্প সড়ক নেই। যে কারণে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি উল্লেখিত সময়ে বন্ধ থাকবে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস।
আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হাসিবুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সড়ক বন্ধ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। তবে ওই সময়ে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখা বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিকল্প সড়ক দিয়ে ছোট যানবাহনে করে মাছ রপ্তানি স্বাভাবিক রাখা ও আমদানি করা পণ্য এনে বন্দরে রাখা সম্ভব বিধায় আমরা বাণিজ্যিক কার্যক্রম ঘোষণা দিয়ে বন্ধ না করার বিষয়টি চিন্তা করছি। বড় যানবাহন চলাচলে বিকল্প সড়ক না থাকায় আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, তুলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।