মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকা
ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকা এবং  অনলাইন ও ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া  এর জন্য সম্পূর্ণ  নতুনভাবে সারাদেশ থেকে জেলা, উপজেলা,বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সরকারি কলেজ,পলিটেকনিকে একযোগে সংবাদকর্মী আবশ্যক বিস্তারিত জানতে ০১৮১৬৩৯৩২২৩

ওসমানীনগরে পানিশূন্যতায় হাওর, নদী ও খাল

শরীফ আহমেদ চৌধুরী
ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতাঃ সিলেটের ওসমানীনগরে হাওয়র হতে কৃষকরা সোনালী বোরো ধান তুলার পরও প্রচন্ড খরতাপে হাওয়র নদী ও খাল পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। বোরো ধান তুলা হাওয়র হয়েগেছে এখন গরু চারণভূমি।

আর খাল ও নদী খনন করার অভাবে প্রতি বছর শুকনা মৌসুমে  শুকিয়ে যায় হাওয়র নদী ও খাল কৃষি জমিতে সেচ দেওয়ার সময়ে পানিশূন্যতা দেখাদেয়। এবার প্রচন্ড খরতাপে হাওয়র,  নদী ও খালের তলদেশ মরু ভূমিতে পরিনত হয়েছে। এদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেও আবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ঘর বাড়ি তলিয়ে যায় জরুরি বিত্তিতে উপজেলার নদী ও খাল খনন না করার ফলে চরম দূর্ভোগের স্বীকার  উপজেলার  কৃষক সহ জনসাধারণ  ।

 

ওসমানীনগর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার সংলগ্ন খাল ও বুড়ি  নদীর কিনারে হাওর হওয়ার ফলে পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের হাজিপুর বাজার ও বুরুঙ্গা   ইউনিয়নের বুরুঙ্গা বাজার জামতলা বাজার সহ উপজেলার  বিভিন্ন হাট বাজার ঘিরে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাবে  স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান ঘর ও মার্কেট যেন দেখার কেউ নেই । এদিকে উপজেলার  হাওর গুলোতে এমন দিনে বর্ষার পানি হাওয়র,  নদী ও খাল বিলে থৈ থৈ করার কথা সাধারন মানুষ ভাবতে থাকলেও তার তলদেশ  শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হয়েগেছে। উপজেলার  প্রকান্ড হাওয়র বানাইয়া, মোক্তারপুর, নিরাইয়া, কালাসাড়া, রউনিয়া, লেংরা, যুগনিগড় এবং  নাটকিলা নদী, বুড়ীনদী,  কেওয়ালী খাল, দাসপাড়া খাল সহ অসংখ্য খাল, বিল, নদী ও হাওয়র পানিশূন্যতায় ধু ধু চরের মত একাকার হয়েগেছে।

এবিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত  কৃষি অফিসার সায়মা নাজনীন  বলেন ভরাট হয়ে যাওয়া প্রাচিন নদী ও খাল খননের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।  অন্যতায় ওসমানীনগরের কৃষকরা সেচের অভাবে  হারাবে তার কাংখিত ফসল ফলানোর মাঠ। উপজেলা মৎস্য অফিসার মাশরূপা তাসলিম বলেন ওসমানীনগরে পরিক্লপিত ভাবে নদী, খাল ও বিল খনন করা হলে মাছের  আবাসন তৈরি হবে এবং মাছের  প্রজনন বৃদ্ধি হবে এতে চাহিদা পুরন হবে পুষ্টির অভাব থাকবেনা। এতে মৎস্য আহরনে নদী,  খাল  ও বিল খনন করা একান্ত জরুরি।

কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন নিরাইয়া হাওরে এখন পর্যন্ত বর্ষার পানি না আসায় আমাদের গৃহপালিত গরু ছাগল মাঠে চরাতে পারছি।  এদিকে মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্তমানে গো খাদ্যর অভাব নেই। এদিকে খাল, বিল ও নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে দেখা যায়না পানসী নৌকা সহ কৃষক ও জেলেদের হরেক রকম  নৌকা এবং  দেশিও ছোট বড়  বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শূন্যতা দেখা দিয়েছে ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved ©2022 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com