অগ্নিশিখা অনলাইন
- ২৩ মে, ২০২৪ / ১১১ জন দেখেছে
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পল্লীতে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং তথ্য সংগ্রহকে কেন্দ্র করে তিনজন সংবাদকর্মীকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করা সহ মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলা এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার ১নং আসামি তপু গাইন (৩৬) ও আব্দুর রশিদ গাজী (৪০) সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারের জেল হাজতে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী ‘দৈনিক আমাদের দেশ, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা ও গণ টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক জিএম আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে তপু গাইন এর বাড়িতে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ চলছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পারেন। গত ১৯মে তিনি, আরাফাত আলী ও চাম্পাফুল এলাকার সাংবাদিক জিএম বারী ওই বাড়িতে যেয়ে ১০/১২ জন শ্রমিককে ময়দা মিশ্রিত পানিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে উজিরপুর বাজার এলাকায় তপু গাইন, একই এলাকার নুনু গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী (৪০), ঘুষুড়ি গ্রামের মালেক গাজীর ছেলে আব্দুস সালাম গাজী (৪২) ও তাদের কয়েকজন সহযোগী তিন সংবাদকর্মীকে অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত করে। এসময় রশিদ গাজীর নেতৃত্বে তপু গাইন ও আব্দুস সালাম সাংবাদিক আরাফাত আলী ও তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন, ব্যুম এবং ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে অপদ্রব্য পুশের ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক জিএম আল মামুন বাদী হয়ে তপু গাইন ও রশিদ গাজীসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে গত ১৯মে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং-১১
মামলা দায়েরের পর আসামিরা বৃহস্পতিবার (২৩মে) বিজ্ঞ আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন।
কিন্তু শুনানী শেষে বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিশিয়াল বিচারক নয়ন বিশ্বাস মামলার এক নম্বর আসামি তপু গাইন ও দুই নম্বর আসামি আব্দুর রশিদ গাজীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক জিএম মামুন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল চাম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর বাজারে বাগদা চিংড়িতে পুশ সিন্ডিকেটের শক্ত ঘাঁটিতে অভিযান পরিচালনা করেন তৎকালীন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলাম। সেদিন লক্ষাধিক টাকার অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি বিনষ্টের পাশাপাশি পুশ সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রধান হোতা আব্দুর রশিদ গাজীসহ ২ জনকে ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ দিনের বিনাশ্র কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চিংড়ি পুশের সাথে জড়িত আব্দুস সালাম, তপু গাইন, খোকাসহ আরও কযেকজন অসাধু মাছ ব্যবসায়ী