শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন
বিপ্লব হোসেন (ফারুক):- প্রভাবশালী মহলের নির্দেশে বন কর্মীদের উপর হামলা (আহত ৮) গুরুতর তিনজন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের আওতায় অবৈধ ভাবে বনের গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের আট কর্মচারীর ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় শিকার গুরুতর আহত ৩ জন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রতিবেদন প্রণয়ন কালে স্থানীয় নাম প্রকাশে কিছু অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আনুমানিক সকাল ৯,৩০ ঘটিকায় উপজেলার কালিয়াকৈর পৌরসভার কালামপুর খাজারটেক এলাকায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেমের নেতৃত্বে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। এরই সূত্রে এলাকার কয়েকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম। ঘটনাটির ভিন্ন রূপ দিতে কাউন্সিলরের শিখানো বক্তব্যের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর বল প্রয়োগের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এই সূত্রে জন কয়েক ব্যক্তি জানায় পৌরসভার রাস্তা প্রশস্ত করতে দোকান -ঘর পেছনের দিকে নিতে গিয়ে বন বিভাগের জায়গায় পড়ায় টাকা দাবি করে দপ্তরটির কর্মীরা যদিও এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অনুমান ৮,৩০ঘটিকার সময় কালিয়াকৈরে রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের আওতাধীন কালামপুর খাজারটেক এলাকায় বনভূমি দখল করে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা,ঘটনা স্থলে বন কর্মীগন প্রবেশ করে ঘটনার সত্যতা দেখে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবল নিয়ে এসে হঠাৎ বন বিভাগের কর্মচারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলে আটজন কর্মচারী আহত হন।
এর মধ্যে গুরুতর তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় ফরেস্ট গার্ড জালাল উদ্দিনের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে চোখের পানি মুছতে মুছতে অসহায়ত্বের বাণী গুলো মৃদু কন্ঠে বলেন আমরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লোভী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এরই মাঝে আর একজন বন প্রহরী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার জের ধরে কাউন্সিলর আবুল কাশেম তার লোকজন নিয়ে হঠাৎ আমাদের ওপর আক্রমণ করেন।
আমরা কোনো রকমে সাধারণ মানুষের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে নিজেদের রক্ষা করি। তবে আমাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুব গুরুতর। বর্তিকৃত রোগীর শয্যার পাশে আপনজন কেউ না থাকলেও রয়েছেন জনকয়েক গণমাধ্যম কর্মী, তবে অপরাধীদের নির্দোষ প্রমাণ করতে থানা ও হাসপাতালে চলছে জোর তদবির, মেডিকেল রিপোর্ট অতি স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন মহলের লভিং চলছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা যায়।’নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় আর এক ব্যক্তি জানায়, পৌরসভার রাস্তা বাড়ানোর জন্য দোকানপাট, ঘরবাড়ি একটু সরিয়ে নেওয়ার জন্য পৌরসভা থেকে নির্দেশ করে, কে নির্দেশ করে এমন প্রশ্নের জবাবে নিরুত্তর।
কালিয়াকৈর রেঞ্জের কর্মকর্তা মনিরুল করিম বলেন পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম তার দলবল নিয়ে আমাদের কর্মচারীদের উপর হালমা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযোগ বিষয়ে জানতে পৌর কাউন্সিলরের সাথে বারবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও আবুল কাশেমের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না আইন বলে কথা,, রাষ্ট্রীয় সার্থরক্ষার দায়িত্ব পালনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর হামলার বিষয়টি কতদূর গড়ায় তা কেবল দেখার অপেক্ষায় আক্ষেপিত জনতার।