অগ্নিশিখা অনলাইন
- ৩ জুন, ২০২৪ / ১৬০ জন দেখেছে
কক্সবাজার প্রতিনিধি:-
ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকার মৃত সাদিকুর রহমানের বড় ছেলে নুরুউদ্দিন @ অনিক। অভিযোগ উঠেছে সে দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মরণ নেশা ইয়াবার কারবার করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। সোনারগাঁও এলাকার যুবসমাজ কে টার্গেট করে দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছে তার এই অবৈধ মাদক কারবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নুরুউদ্দীন অনিক একসময় দিনমজুরের কাজ করলেও বর্তমানে তার চলাফেরায় রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। দামি প্রাইভেটকারে চলাফেরা করেন এই মাদক কারবারি। এলাকায় অবৈধ টাকার প্রভাবে গড়ে তুলেছেন বিশেষ বাহিনী। তার মাদক কারবারে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করলে সেই বিশেষ বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। যার ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ তার মাদক কারবারে বাধা দেওয়ার সাহস করেন না।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, নুরুউদ্দীন অনিক এই ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে রোহিঙ্গাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে শুরু করেন তার রমরমা ইয়াবার কারবার। একসময় সে কক্সবাজারের মাদক সম্রাজ্ঞী বাবুনীর সাথে ইয়াবার কারবার করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং সেই সম্পর্কের কারণে একসময় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। কক্সবাজারের ইয়াবা সম্রাজ্ঞী বাবুনীকে বিয়ে করার পর থেকে আজ-অব্দি আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। স্বামী-স্ত্রীর এই রমরমা ইয়াবার কারবারে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি। বিভিন্ন জায়গায় ক্রয় করেছেন জমি-ফ্লাট। ব্যাংকে রয়েছে নগদ কোটি টাকা।
এই মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চক্ষু যেন চড়কগাছ এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে একজন মানুষ এতো সম্পদের মালিক হয় কিভাবে?
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যে, এই মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা কক্সবাজারের খরুলিয়া এলাকার মাদক সম্রাট বাদশা। এই বাদশার নেতৃত্বে বাবুনীর স্বামী নুরুউদ্দীন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা অনুযায়ী ইয়াবা সরবরাহ করে থাকেন। এই মাদক কারবারে মদ্ধস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইয়াবা সম্রাজ্ঞী বাবুনী। তাদের এই সিন্ডিকেটে পরিবারের সকল সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
মাদক কারবারি নুরুউদ্দীন অনিকের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন থানায় ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর যে মামলা হয়েছিল তার কয়েকটি নথি এসেছে অগ্নিশিখার অনুসন্ধানী টিমের হাতে। নথির তথ্য অনুযায়ী নুরুউদ্দীন ২০১৭ সালে ডিএমপির সূত্রাপুর থানায়, ২০১৮ সালে ডিএমসির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে খিলগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা, ২০২০ সালে মুগদা থানায়, ২০২২ সালে বিমানবন্দর থানা, এবং ২০২৩ সাথে কক্সবাজারে র্যাবের হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক হয়ে কারাগারে যাওয়ার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও মাদক পাচার করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল এই মাদক কারবারি।