শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

সবার জন্য সবসময়  আমার দরজা খোলা: সিএমপি কমিশনার

মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমার অফিস ও উপ-কমিশনারদের (ডিসি) অফিসের দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কেউ যেকোনো সময় সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
আমি কমিশনার থাকাকালীন ওপেন হাউজ-ডে থানায় হবে না। থানার বাইরে যেকোনো স্থানে হবে।
মানুষ সব সময় থানায় আসে, এখন থানার পুলিশ মানুষের কাছে যাবে। আমিও চেষ্টা করবো মানুষের কাছে সরাসরি যাওয়ার জন্য।
আমি নিজে অন্য গাড়ি নিয়ে থানায় যাব, সঙ্গে কাউকে নিয়ে যাওয়া হবে না। যদি বডিগার্ড থাকে, তার মোবাইল আমার কাছে থাকবে।
যাতে থানায় যাচ্ছি সেটা জানতে না পারে।
সোমবার (৮ জুলাই) নগরের দামপাড়া সিএমপির মাল্টিপারপাস শেডে মিট দ্যা প্রেস-এ তিনি এসব কথা বলেন।
সিএমপির প্রত্যেক থানায় জিডি নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, থানার প্রত্যেক জিডিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া বা ছিনতাই হওয়া সকল মোবাইলের জিডি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। থানার প্রত্যেক জিডির বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। যেখানে মাদক উদ্ধার বেশি হবে, সেখানে মাদকের ডিমান্ডও বেশি। আমি চাই মামলা বেশি হোক।
পুলিশের কাজে গাফেলতি থাকলে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কোনো থানার ওসি আমার আত্মীয় না। কাজের অসংগতি হলেই তাদেরকে জবাব দিতে হবে। কোনো প্রটোকল-গার্ড ছাড়াই বিভিন্ন থানাগুলোতে আমি পরিদর্শনে যাবো। আমি দুষ্টু গরু রাখবো না, আমি শূন্য গোয়াল রাখবো।
বিট পুলিশিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বিট পুলিশিং কমিটিতে যারা থাকবে, তাদের সিডিএমএস যাচাই করা হবে। পুলিশের কাছে গিয়ে যেন কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আমি চট্টগ্রামকে ভালো করেই চিনি, এখানে আমি আগেও কর্মরত ছিলাম। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। সিএমপি আপনাদের সঙ্গে আছে।
পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে পুলিশের যোগসাজশ থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংস্থা নেবে না। এসবের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবো।
শিশু নিখোঁজের কথা বলে গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেকে প্রেম করে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে, আবার কেউ মাদরাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, অনেকে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে যাচ্ছে; তাদের অধিকাংশই আবার ঘরে চলে এসেছে। অভিভাবকরা যাতে ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ার আগে তার ছেলে কোথায়, কী কারণে গেছে- এসব বিষয়ে নজর রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com