শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন ভূমি বিরোধে ফৌজদারি অপরাধে ভূমি দালাল /ভূমি দস্যু কর্তৃক সংগঠিত ফৌজদারি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা পক্ষপাত মূলক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ,ভূমি দালালগন কৌশলে পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি কিংবা দখলীয় ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করে লক্ষপতি থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে স্থানীয় ভূমি দালাল/ভূমিদস্যু চক্রবাহিনী। মাঠ পর্যায়ে এমন স্পর্শকাতর বিষয়গুলো উল্লেখিত থানার অফিসার ইনচার্জ ততটা অবগত না থাকলেও এস আই, এ এস আই পদমর্যাদা কর্মকর্তাগণ অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় নিরব সহযোগিতা করে চলছেন ভূমি দালালদের।
প্রতিবেদন প্রণয়ন কালে এমন অভিযোগের বিষয়গুলো ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে । উল্লেখিত থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর গ্রামের রমজান আলী নামের এক চিহ্নিত ভূমি দালাল ও ভয়ংকর ভূমিদস্যুর অবৈধ ভাবে ভূমি দখল বাণিজ্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ড রূপকথার গল্পের মত লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। যিনি ২০০৭সাল হতে অবৈধ ভূমি দখল বাণিজ্যে বেপরোয়া গতিতে আপনজনদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তারপর একে একে ঘটনার সূত্রপাত প্রথমে নিজ এলাকায় জনি নামের এক ব্যক্তিকে তার দখলীয় সম্পত্তি হতে উচ্ছেদ করতে প্রকাশ্যে দিবা লোকে ধারালো অস্ত্রধারা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, এ ঘটনা জয়দেবপুর থানায় ১৪৩ /৪৪৭ //৩২৩ /৩২৬/৩০৭ / ৩৮৫ /৫০৬ /৩৪ ধারার বিধান মতে তার স্ত্রী বাদীনি ফাহিমা সরকার ১৫৩নং মামলা রুজু করলে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘদিন কারাবাস করে সন্ত্রাসী মর্দানায় বলিয়ান হয়েএলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে ।
তারপর অপরাধ জগতের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত ডন/ কিলার রমজান আলী মাদকসহ একাধিকবার ডিবি পুলিশের হেফাজতে আতিত্য বরণ করেন। বর্তমানে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে চলমান মামলা ০৭/(৪) তাং২৭/১/১৫বাদী ছলিমুজ্জামান তাজা বোমা সহ ধৃত হয়, কাশিমপুর থানা মামলা নং ০৮(১২)১৮ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)২৫ ডি , কাশিমপুর থানা মামলা নং ০৩তাং ০১/৬/১৯,,, ১৪৩ /৩৪১ /৩৩০ /৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯ বাদী খোরশেদ আলম পূর্ব এনায়েতপুর, জয়দেবপুর থানার মামলা ৫(১০) বাদী ফারুক মিয়া ধারা ১৪৩/৩২৩/ ৩২৬/ ৩০৭/৫০৬/ ৩৪ এরূপ বহু মামলায় সিএস ভুক্ত আসামি রমজান আলী, অন্যের জমি দখলে জড়িত হয তার বিশাল বাহিনী নিয়ে গত২৬/৬/২৪তাং বিকেল ৩ ঘটিকার সময় হাতিমারা এলাকায় ৭৫ বছর বয়সের নজরুল ইসলাম (মানিক)নামের এক বৃদ্ধা কে তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দীর্ঘ দিনের দখলিও সম্পত্তি হতে উচ্ছেদ করতে শারীরিক ভাবে নাজেহাল করার সময় বৃদ্ধার ভাতিজা বউ কুলসুম বেগম বাধা দিলে তাকেও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত ও সম্ভ্রম নষ্ট করে যার ভূমির বর্ণনা সহ কাশিমপুর থানা অভিযোগ দায়ের করা হইলেও ঘটনার সত্যতা নিরূপণে তদন্তের কোন অগ্রগতি এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক ব্যক্তিবর্গ জানিয়েছেন রমজান একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও জাল জালিয়াতিপূর্ণ কাগজপত্র তৈরি করার পলেসি মেকার। তার সৃজনশীল কাগজপত্রে পুরনো বসতিদের মাঝে সহজ সরল সাধারণ মানুষ কিংবা সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যক্তিবর্গ এক বারের জায়গা দু -দুবার ক্রয় করতে গিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন। এলাকায় তার প্রকাশ্যে পেশা ভূমি দালালিও ভূমিদস্যু বৃত্তি তঞ্চকতাপূর্ণ ভুমি রাষ্ট্রীয় ১ নং খতিয়ানের ভূমি সৃজনশীল দলিল ও ভিত্তিহীন কাগজ তৈরি করে ক্রয় বিক্রয় করা তার মূল পেশা। তার রয়েছে বিশাল বাহিনী তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ টু শব্দ করলেই মারপিট সহ ঠুকে দেয় বিভিন্ন মিথ্যা মামলা। উল্লেখিত থানাধীন পুরনো পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একাধিক এসআই পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারদের সাথে সুদীর্ঘ সময়ে সখ্যতায় বহু অপকর্ম চাপা পড়ার কারণে থানায় সচরাচর কেউ অভিযোগ করতে সাহস পায় না ।
সাধারণ মানুষ উক্ত এলাকায় তাকে ভূমি বরপুত্র বলে মান্য করে। তার এমন কর্মকান্ডে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কারণে কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের সাত জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে, যাহা পিবিআই তদন্তে ৩৮৫ ধারা টি মিথ্যা প্রমাণিত হলেও ১৪৩ / ৩২৩ /৫০৬ ধারা বলবদ থাকায় আদালতে মামলাটি চলমান রহিয়াছে। তাহার এহেন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।