শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শাহনেওয়াজ শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চুরির অপবাদে সালিশি সভায় এক নারীকে (২৫) অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ জুলাই, শনিবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হোসেন মিয়া।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে হারন মিয়ার বাড়ি থেকে এক প্যাকেট মাংস ও একটি মোবাইল চুরি হয়। সন্দেহজনক এক মহিলার বাড়িতে তল্লাশি করে মাংসের প্যাকেটটি পাওয়া যায়। পরে ঐ মহিলাকে ধরে এনে স্থানীয় দুই মেম্বার গায়ে গরম পানি ঢেলে লাঠিচার্জ করে। তবে ঐ মহিলা কোনোভাবেই চুরির ঘটনা স্বীকার করেনি।
ভুক্তভোগী মহিলা মাংস চুরির করার কথা অস্বীকার করে বলেন, হারন মিয়ার বাড়ি থেকে নাকি একটি মোবাইল আর মাংসের প্যাকেট চুরি হয়েছে। পরে তাদের মোবাইলটি তাদের বাড়ির বিচানার বালিশের নিচে পেয়েছে বলে থানায় জানিয়েছে। হোসেন মেম্বার আর ইসহাক মেম্বার আমাকে শুধুশুধু এই নির্যাতন করছে।
অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা জানান, একটি বাড়িতে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সালিশি সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে। তবে এই মারধর করা আমাদের ভুল ছিল।
বিজয়নগর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হাসান জামিল খান জানান, কয়েকদিন আগে বিষ্ণুপুরের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। এই চুরির অভিযোগে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে ব্যাপক মারধর করেন। এমন অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দায়েরের করা হয়েছে।