অগ্নিশিখা অনলাইন
- ১ আগস্ট, ২০২৪ / ১০৮ জন দেখেছে
বিপ্লব হোসেন ফারুক,
গাজীপুর সাংবাদিকদের শুভঙ্করের ফাকি দিতে সৃজনশীল কাগজে প্রতারণা মূলক লেখনীতে জোত খতিয়ানের কাগজপত্র দেখিয়ে বনভূমি দখলে ভূমিদস্যুদের সমর্থন যোগিয়ে যাচ্ছেন ফরেস্ট বিট কর্মকর্তাগন, যে কারণে বনের আয়তন শনির দৃষ্টিতে সংকোচিত হয়ে দিনে দিনে বন বিট গুলো আজ প্রায় বৃক্ষবিহীন বিরানভূমিতে পরিনত হচ্ছে বলে পরিবেশবাদী গুনীজনরা কালিয়াকৈর রেঞ্জের নামকরন করেছেন বেহুলার মৃত স্বামী লক্ষিন্দরের সমাধি স্হল হিসেবে। গাজীপুর কালিয়াকৈর বন রেঞ্জের আওতাধীন ফরেস্ট বিট গুলো হলো চান্দনা(চন্দ্রা), সাভার বিট, কাশিমপুর, বারইপাড়া, মৌচাক এর সাববিট বার্নারা, বোয়ালী, রঘুনাথপুর এর সাব বিট গলাচিপা এই ৭ টি বিটের ২টি উপবিট নিয়ে কালিয়াকৈর রেঞ্জের অবস্থান। এরই মাঝে চন্দ্রা, সাভার, কাশিমপুর, বাড়ইপাড়া,মৌচাক এই বিটগুলোর বনভূমির আয়তনের অধীকাংশ ভূমি দালিলিক তথ্য অনুযায়ী প্রভাবশালী দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে। রঘুনাথপুরের অধীন ৭টি মৌজার মাঝে গলাচিপা, উত্তর লস্কর চালা মৌজাধীন প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি গজারী বনে বেলা ডুবার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা গভীর রাতে এখনো পাখিদের কলতান শুনা গেলেও স্হানীয়দের তথ্যমতে শুধু নেই বন্য প্রাণীদের হাকডাক,তবে গভীর রাতে শুনা যায় বনদস্যুদের কুঠার আঘাতে ঢলে পড়া গজারী গাছের বিভৎস আর্তনাদ। বিশ্বস্ত সুত্রে জানাযায় রঘুনাথপুর বিটে নতুন বিট কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বন সংলগ্ন ১৫ টি স-মিলের মালিক কতৃক মাসিক এলাউন্সমেন্ট ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় উন্নিত করেছেন। ইতিমধ্যে সুফলের আওতায় প্লট মালিকদের রোপনকৃত উঠবাগান টেন্ডারে নিয়ে কর্তনকালে টেন্ডার মালিকগন চাতুরীতে প্লটমালিকও বনদস্যুদের সাথে সমন্বয় করে বেপরোয়া গতিতে নিঃশব্দে অন্যান্য বগান গাছের সঙ্গে শতবর্ষি গজারি গাছ গুলোও কেটে ফেলছে বলে স্হানীয় সুত্রে জানাযায় , এরই মাঝে বিট কর্মকর্তা বনদস্যুদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন স্পর্শকাতর স্থানে সাংবাদিক প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার জন্য। সাংবাদিক নজরদারির উপর বিশেষ ক্ষেত্রে সমন্বয় হচ্ছে ভিত্তিহীন কাগজ পত্রের উপর আংশিক নজরানা দিয়ে সমর্থন আদায় করা কিংবা বনদস্যুদের ভয় দেখিয়ে বিতারিত করা। তবে মুর্দাকথা হলো প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি বনভূমি জবরদখলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতারণা জালিয়াতি কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে তারা গঙ্গাজলে ডুব দিয়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন দেওয়ানী আদালতের উপর কিংবা তাদের নিয়োজিত কৌশলীদের ঘাড়ে, দোষ চাপিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি দিতে সর্বদায় ব্যতিব্যস্ত। তাহারা বলছেন ২০ ধারার গেজেটে সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড থাকার পরও দখলদারদের অপকৌশলে আদালতের রায়ে বনভূমির মালিকানা হারাচ্ছে বনবিভাগ। এর অন্তনিহিত সত্য হলো দায়সারা গোছের মামলা দিয়ে বিট কর্মকর্তাগন নিজেকে ত্রুটি মুক্ত করা বিবাদী পক্ষ হতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে সময় মতো মামলার তদারকি না করা। যেমনটি দেখালেন কাশিমপুর বিট কর্মকর্তা উল্লেেখিত বিটের সরাবো মৌজায় জে এল সিএস ৬৩২,৪৬৫,৪,৭৫ দাগে মোট ভূমি ২১,৮৪ একর গেজেট হালে আরএস মালিকানা থাকার পরেও পুরু সম্পত্তি উচ্চ আদালতের রায়ে জাফর শেখের মালিকানায় কিংবা গোবিন্দবাড়ি মৌজা এসএ ৮৬৪ দাগে হালে ১৯ একর সম্পতির হালে আরএস রেকর্ড থাকার পরেও আদালতে মামলা ঝুলিয়ে ভূমি দখলে রেখেছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী দখলবাজগন, একই পরিনতি কাশিমপুর বিটের আওতাধীন বাগবের এসএ ৫৩ দাগের বিশাল একটা অংশ, ৫৩৬ মিরপুর মৌজার গেজেট নোটিফিকেশন ফর ১৩/০৪/১৯৫৫ এর গেজেট ভুক্ত সরকারি সংরক্ষিত বনভূমি সিএস দাগ১৪২ আরএস দাগ নং ৩৩১ ও ৩৩২, সিএস দাগ নং১৮৮ যার আরএস দাগ ৩৮১ এর মোট ভূমি১০,৪৫ একর এর পুরো অংশ আজ বন খেকোদের দখলে, মৌচাক বিটের অধীন বরাব মৌজা ২,২৯ একর উক্ত বিট অফিসের তথ্য মতে ৪,২০ একর বনভূমি জবর দখল দেখানো হলেও প্রকৃত সত্য হলো ১৬, ১৯ একর বনভূমি বন খেকোদের দখলে, তার ভিতরে প্লট ভোগীদের আলিশন বাড়ি, সান বাঁধানো পুকুর দেখলে মনে হয় ভাওয়াল রাজার উত্তরসূরী হিসেবে দৃশ্যত তাদের আদিপত্য ধরে রেখেছেন। এগ্রো ফরেস্ট সমবায়সমিতির ৩৩ বৎসরের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ফরজর আলীর একার দখলে ২,৩৩ শতক বনভূমি রয়েছে বলে স্হানীয় সুত্রের বরাতে জানাযায়, তার উপর তাহার মুরিদান লাভ করলে মিলে বন প্লটে বাসস্হান। স্বর্গদপী গরি অসী বন জননী শ্রী চন্দ্রাবতীর বুকে স্থাপিত কালিয়াকৈর রেঞ্জের ২১ টি মৌজার পারিপার্শ্বিকতা দেখলেই যে কেহ অনুমান করে নিতে পারেন এ-টিই যেন লক্ষিন্দরে সমাধি স্হল।