অগ্নিশিখা অনলাইন
- ৬ আগস্ট, ২০২৪ / ৯৭ জন দেখেছে
মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো
চট্টগ্রাম: বিজয় মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে। কোনো নেতার ওপর, ধর্মীয় মন্দির, মাদ্রাসা গির্জা বা উপাসনালয়ের ওপর হামলা না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে।
এটা আমাদের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে হবে। সকল নেতাকর্মীদের দায়িত্ব থাকবে মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং যত ধরনের উপাসনালয় আছে ভিন্ন ধর্মের ও মতের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ কেউ যেন ধ্বংস না করে।
সোমবার ( ৫ আগস্ট) নগরের কাজীর দেউরি বিকেলে বিজয় মিছিল শেষে এ কথা বলেন।
ভিন্নমতের প্রতিপক্ষের বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর ও হামলা না করার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.শাহাদাত বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেদিকে সমস্ত নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
এখন দেশকে বাঁচাতে হবে। এই যুদ্ধটা ছিল দেশ বাঁচানোর,মানুষ বাঁচানোর।
কাজেই আমরা যেহেতু এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি। এখন সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে। এখনো যারা কারাগারে আছে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে এবং আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ উনাকেও অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ যারা আহত আছে তাদেরকে দ্রুত সূ— চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যে সমস্ত ছাত্র এবং শিক্ষক কারাবন্দি আছে তাদেরকে মুক্ত দিতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাসান বক্কর বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে ছাত্র জনতার বিজয় হয়েছে। এই সরকার দীর্ঘ ১৭ বছরের ধরে জনগণের উপর দমন নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছিল। আজ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আগামীতে নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে সকল দলের ও মতের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে। সকল নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক কোনো কাজ না করার জন্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন,ইস্কান্দর মির্জা, আব্দুল মান্নান, গাজী মোহাম্মদ সিরাজুল্লাহ কামরুল ইসলামসহ বিএনপি যুবদল ছাত্রদল সহ সর্বস্তরের ছাত্র জনতা।