মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:-
২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৫ বছরে প্রায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গবেষণা সংস্থাটি বলছে, ২৪টি বড় কেলেঙ্কারির মাধ্যমে এই অর্থ সরানো হয়েছে। আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ বা জিডিপির দুই শতাংশের সমান।
আজ সোমবার ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
ব্যাংক খাতে চলমান অনিয়ম, লুটপাট ও অর্থপাচারের তথ্য চেপে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিগত সরকার। জনস্বার্থে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান সিপিডির।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বাধীনতার চর্চার জায়গার পুরোটা হারিয়েছে। গত এক দশকের বেশি সময়ে ব্যাংকিং খাতে ২৪টি বড় ধরনের ‘‘স্ক্যাম’’ হয়েছে, যাতে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার বেশি ঋণের কেলেঙ্কারি হয়েছে।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের দুষ্টু চক্র ভেঙে ফেলতে হলে ব্যাংক কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।’
বেশ কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা সংকটজনক হলেও প্রণোদনার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ উল্লেখ করে সিপিডি বলেছে, আর্থিকভাবে দুর্বল এসব ব্যাংকগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে।
এছাড়া ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা আনতে একটি সুনির্দিষ্ট, সময় উপযোগী, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে সিপিডি।