অগ্নিশিখা অনলাইন
- ১৯ আগস্ট, ২০২৪ / ৮৮ জন দেখেছে
বিপ্লব হোসেন (ফারুক)
গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন ৩নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর এলাকায় গত ৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসী কায়দায় একে অন্যের জমি জবর দখলের মহোৎসবের নৈরাজ্যতায় মেতে উঠেছে একদল ভূমিদস্যু। যে কারণে এলাকাটিতে অশান্তি বিরাজ করছে, সাধারণ মানুষের ধারণা যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন প্রণয়ন কালে জানা যায় উল্লেখিত থানাধীন গোবিন্দ বাড়ি মৌজায় এনায়েতপুর গ্রামে এস এ ১নং খতিয়ানের ৮২৫ দাগে বিগত জরিপে প্রতারণা মূলক লিখনিতে ৩,৩৯ শতক সম্পত্তি আর এস ২৭৭৪দাগে ৫০০ খতিয়ানে ২,৫৩ শতক ও ৪৮৬/৪৮৭ খতিয়ানে ১৪৩ শতক ভূমি ব্যক্তিমালিকানা অন্তর্ভুক্তি ঘটে। আর এস রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী ৫০০খতিয়ানে ২,৫৩ শতক ভূমিতে জালাল পিতা আজাহার আলী উল্লেখ করলেও ৪৮৬/৪৮৭ খতিয়ানের জালাল উদ্দিনের পিতার নাম উল্লেখ করা হয় জালাল উদ্দিন পিতা এ কেএম জহিরুল হক, যাহা অসঙ্গতিপূর্ণ জাল জালিয়াতির স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। অথচ এই দাগের অন্য বসতিদের উচ্ছেদ করা হয় দাগ খতিয়ানের গরমিল দেখিয়ে, কে করে কার বিচার দেখার কেউ নেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেন আজ অরক্ষিত, ভুলন্ঠিত মানবিকতা স্থানীয় আচার নিষ্ঠা বেগতিক । যাহোক এর স্বপক্ষে দালিলিক তথ্য মতে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ছাড়া ব্যক্তি মালিকানার সঠিক কোন প্রমাণ নেই এমনকি কাশিমপুর ভূমি অফিসের তথ্য মতে কোন প্রকার খাজনা খারিজ ছাড়াই এই অসঙ্গতিপূর্ণ আর এস রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে চলছে এই সমস্ত সম্পত্তির বেছাকেনা দখল জবরদখল। ইতিপূর্বে এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় দলীয় পরিচয়ে সাংবাদিকদের প্রাণ নাসের হুমকি দিচ্ছে উল্লেখিত থানাধীন এনায়েতপুর গ্রামের সংঘবদ্ধ একদল ভূমিদস্যু । এ অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত সাংঘর্ষিক ঘটনা এড়াতে সাংবাদিকরা ভূমি দালাল ভূমিদস্যু রমজান গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নীরব ভূমিকা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরবতায় ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া নীতিতে এলাকাটিতে ত্রাসের রাজত্ব বিরাজ করছে। ভূমি জবরদখল সহ নানাবীদ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি । ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও এলাকাবসী সূত্রে জানা যায় এ সমস্ত ভূমিদস্যদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দায়ে বহু মামলা আদালতে বিচারাধীন। তাছাড়া সংক্ষুব্ধ পক্ষগণ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এ সমস্ত ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আওয়ামী শাসনামলে পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কিছুটা দমাতে পারলেও বর্তমানে ওরা বেপরোয়া , এদের দলীয় কোন বড় পদ পদবী না থাকলেও বর্তমানে উল্টো এ সকল মামলার কাগজপত্র দেখিয়ে বিভিন্ন দলের সহানুভূতি আদায় করছে এই ভূমিদস্যু চক্রটি। কথায় বলে সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক ওরা সেই দলেরই বিষফোঁড়া, কারণ আওমী সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতিবাচক প্রভাব গণতান্ত্রিক চর্চা বড় দল গুলোর ভোটের মাঠে এদের কারণে বিস্তর বেঘাতিক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তাই বড় দলগুলোর হিতাকাঙ্খী নীতিনির্ধারণীগণ এখনই যদি এদের লাগাম টেনে না ধরেন সাধারণ মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী ভোটের মাঠে সর্বনাশার বাজ পরতে পারে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে পুলিশের কার্যক্রম শিথিল থাকায় কর্তব্যরত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।