মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
মোঃ শহিদুল ইসলাম (মিঠু),ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সেলিম সরদারকে (৫৫) গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তারা। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তার ওপর গুলি চালানো হয়। তবে ‘মিস ফায়ার’র কারণে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিবলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।গুলির ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ফুলতলার নতুনহাট জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় শেষে বেলা পৌনে ২টার দিকে বিএনপি নেতা সেলিম সরদার ও তার ভাইপো আবু ওবায়দা অনিক (২৬) কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরছিলেন। নতুনহাটে বাবু স্টেশনে পৌঁছালে সেলিমকে লক্ষ্য করে ২ যুবক কাছ থেকে পিস্তল দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি করে। তবে ‘মিস ফায়ার’ হলে উপস্থিত অন্য মুসল্লিরা তাদেরকে ধাওয়া করে। ওই ২ যুবক তখন আরও কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে সেলিমকে গুলি করে হত্যা প্রচেষ্টা প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের আটকের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুনহাট হাসপাতালের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপি নেতা সেলিম সরদার বলেন, আমার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, বড়ো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল ও ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে যে চরমপস্থী নেতার নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে; তারাই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
থানার ওসি মো. হানিফ বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মোঃ আসিফ ইকবাল, ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানায় এসে চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাহাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।