রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
অগ্নিশিখা ডেস্কঃ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।একইসঙ্গে দুই নেতা বাংলাদেশে নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথাও স্বীকার করেন।
এ সময় নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করে আমি আনন্দিত। তার সাথে আমার নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষাগত সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার ওপর নজর দেওয়া হয়।’
বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ও কে পি শর্মা ওলির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে তারা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
নেপালের জলবিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং তারা দুই-তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবিদ্যুৎ রফতানিতে সক্ষম হবে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।অনেক নেপালি শিক্ষার্থী প্রতি বছর বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে আসে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং ওলি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্ভবত নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ‘থ্রি জিরো আইডিয়াও’ শেয়ার করেছেন বলে জানান তার প্রেস সচিব।
অধ্যাপক ইউনূস ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার ভলকার টার্ক, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সিইও মার্ক সুজমানের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি সামাজিক ব্যবসা, যুব ও প্রযুক্তি বিষয়ক জাতিসংঘের একটি উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্টে ভাষণ দেন এবং মানবাধিকার বিষয়ক সিএসও-এর একটি গ্রুপের সাথে সাক্ষাত করেন। এছাড়া তিনি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি আলোচনায় যোগ দেন।
সূত্রঃ বাসস।