শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডিমের আড়ত বন্ধ, দাম আরও বাড়ার শঙ্কা

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না ডিমের বাজারে। লাগামহীনভাবে দাম যেন বেড়েই চলেছে। এতে চাপ বাড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে। সরকারি নির্ধারিত দরের ধারে কাছে নেই বহুল প্রয়োজনীয় এই নিত্যপণ্য। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সংকট তৈরি করছেন আড়ৎদারেরা। হঠাৎ করেই ফার্মের ডিমের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে, তেজগাঁও ডিমের আড়তে দেখা যায়নি চিরচেনা সেই বেচাকেনার চিত্র। এর ফলে, ১৫ থেকে ২০ লাখ পিস সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীর বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— উৎপাদন স্তর থেকে প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা করে কিনতে এবং পাইকারিতে সেটি ১১ টাকা ১ পয়সা করে বিক্রি করতে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন স্তর থেকে ডিম কিনতে খরচ পড়ছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৫ পয়সা। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ক্রয় বিক্রয় করতে না পারায় আড়ত বন্ধ রয়েছে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। আড়ত বন্ধ হওয়ায় দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া টাকায় ডিম ক্রয় ও বিক্রি করা যাচ্ছে না। বলা হয়েছে উৎপাদন পর্যায় থেকে ১০ টাকা ৫৮ পয়সায় ডিম কেনা যাবে। কিন্তু বাস্তবে কিনতে হচ্ছে ১৩ টাকার বেশি দামে। এখন আমরা কীভাবে ১১ টাকায় ডিম বিক্রি করব?’

তিনি বলেন, ‘উৎপাদন পর্যায় থেকে রসিদও দেওয়া হচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার থেকে আমাদের কাছে ক্রয়ের রশিদ চায়। আমরা কীভাবে ক্রয়ের রশিদ দেব? রশিদ না থাকায় আমাদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন পর্যায়ে যে বেশি টাকা রাখছে সেটি তারা (ভোক্তা অধিকার) শুনে না। ডিম ক্রয় করতে না পায়ায় আমাদের আড়তগুলো বন্ধ রয়েছে।’

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির মাংসের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে সরকার। নতুন দর অনুসারে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা দরে বিক্রি হবে। এ ছাড়া, খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম রাখা হবে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা করে। তাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়বে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা ও পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা দরে বিক্রি হবে। অন্যদিকে সোনালি মুরগি উৎপাদন পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা ও পাইকারিতে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হবে।

উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম পড়বে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, যা পাইকারিতে হবে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com