বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ওসমানীনগরে প্রস্থুতি সভা ফেব্রুয়ারি মধ্যেই সবার হাতে নতুন বই যাবে: শফিকুল আলম পীরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব পালিত সরাইলে ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) কর্তৃক প্রায় ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় কসমেটিকস্ সামগ্রী আটক লামায় ব্যবসায়িকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসায় সবক ও দোয়া অনুষ্ঠিত ৫৭ হাজার কোটি টাকা একাই লুট করেছেন ‘দরবেশ’ বাহরাইনের শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের বৈঠক দেশে ভিক্ষা করার লোক খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) কর্তৃক অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মানব পাচারকারীর দালাল সহ আটক ২

হামাস বেঁচে থাকবে : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন নতুন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তার মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, হামাস নেতার মৃত্যু প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে থামাতে পারবে না। হামাস বেঁচে থাকবে।

খামেনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এই মুহূর্তে তাকে হারানোটা হামাসের জন্য অবশ্যই বেদনাদায়ক। এটা তাদের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু সিনওয়ারের শাহাদাতের কারণে হামাস একেবারেই শেষ হয়ে যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মুখ ছিলেন। দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে তিনি অত্যাচারী ও আগ্রাসী শত্রুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, গত বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের পর থেকে এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং শিন বেটের (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) যৌথ অভিযানগুলোর মাধ্যমে সিনওয়ারের চলাচল সীমিত করা হয়। এই তৎপরতার ফলেই তাকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে সিনওয়ারও ছিলেন। তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে।

তবে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজায় যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com