মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকা
ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকা এবং  অনলাইন ও ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া  এর জন্য সম্পূর্ণ  নতুনভাবে সারাদেশ থেকে জেলা, উপজেলা,বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সরকারি কলেজ,পলিটেকনিকে একযোগে সংবাদকর্মী আবশ্যক বিস্তারিত জানতে ০১৮১৬৩৯৩২২৩

আন্দোলনে হামলা ও গুলির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ :উপদেষ্টা আসিফ

মাসুদ পারভেজ, বিভাগীয় ব্যুরো চট্টগ্রামঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে ফ্যাসিবাদী দোসরদের বাদ দিয়ে সকল দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বিগত সরকারের মতো একই ধারণার মানুষগুলো আবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে। যাতে তাদের হঠাতে আবারও গণঅভ্যুত্থান না হয়। কারণ সকল দলের অংশগ্রহণে ব্যবসায়ী সংগঠন পরিচালিত হলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারবে।

গতকাল শনিবার বিকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, এসোসিয়েশন, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধির সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সরকার প্রভাবিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো লোক নেই। আবার আমরা প্রভাবিত নই। বিগত সরকারের সময়ে দখল–অপদখলের কারণে বাণিজ্য সংগঠনগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো চিহ্নিতপূর্বক তা সমাধান করে কার্যকরী করার জন্য প্রশাসককে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। ব্যবসা–বাণিজ্য, শিল্প ও অর্থ সংক্রান্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে উপদেষ্টামণ্ডলীর সাথে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কৃষকদের থেকে সরাসরি পণ্য সংগ্রহ করে ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের জন্য সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা চিহ্নিতভাবে হামলা ও গুলি করার সঙ্গে জড়িত তাদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। কিছুদিন পর আপডেট নেব কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রামে গতকালও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির লোকজন স্লোগান দিয়েছে। চট্টগ্রামে তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য বলেছি। যারা এর আগে বিভিন্ন অন্যায়ের সঙ্গে, হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি স্টেডিয়ামগুলো পরিদর্শন করেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে এসেছি, যাতে তারা দেখতে পান কী কী সংস্কার প্রয়োজন। ঢাকা ও সিলেটে বিপিএলের তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য ৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে গেছে। ভালো বিপিএল আয়োজন করতে চাই। ভালো অভিজ্ঞতা দর্শকদের দিতে চাই। যে সংস্কারগুলো না করলেই নয় সেগুলো তিনটি স্টেডিয়ামেই করব। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন কীভাবে একটি ভালো বিপিএল আয়োজন করতে পারি। প্রাথমিক কাজ স্টেডিয়াম সংস্কার। সেটি আমরা করব। চট্টগ্রামের দুটি স্টেডিয়ামের সংস্কার প্রয়োজন। আমি ইতোমধ্যে জেলা ক্রীড়া পরিষদকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।

সাকিব আল হাসান সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাকিব আল হাসানের বিষয়টি একটি বিবৃতির মাধ্যমে আমার পেইজ থেকে স্পষ্ট করেছি। আমি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে যেকোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ যাতে না ঘটে এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই বিসিবিকে পরামর্শ দিয়েছি যে, আপাতত দেশে না আসার জন্য। বিসিবি সে অনুযায়ী কথা বলেছে। নিরাপত্তা কিন্তু এটা না যে, নিরাপদে দেশে এনে খেলানো। দেশে আসলে যদি নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা থাকে, সেটিও আগে থেকে বিবেচনায় নিতে হবে। উভয় দিক থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটা এঙট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশন হয়েছে। সেটি সবাই জানে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের সম্পৃক্ততা ছিল। এ কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি। কেউ এ বিষয়ে অজ্ঞ নয়। সবাই এ বিষয়টা জানে। আন্তর্জাতিকভাবে সবাই জানে। এ বিষয়ে কী থেকে কী হতে পারে অফিশিয়ালি সেটা বিসিবিকে জানাবে। অফিশিয়ালি আইসিসি থেকে জানানোর আগে আমি কিছু বলতে পারি না।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি একটি ভিডিও দেখেছি। সেখানে হয়তো একজন ছাত্র বলছিলেন যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ভেতরে বলে গেছেন। আমি বিসিবিতে যখন প্রেস ব্রিফিং করি সেখানে আপনাদের সহকর্মীরা (সাংবাদিক) ছিলেন। আমি বিসিবিতে বলেছিলাম, আন্দোলন করা বা মত প্রকাশ করা সবার সাংবিধানিক অধিকার। এটাকে কেউ মিস রিড করে, এটার মিস লিডিং কোনো বক্তব্য দেয়, সেটার দায় কিন্তু আমার না। আন্দোলন করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরাও আন্দোলন করেছি, অভ্যুত্থান করেছি। তারপরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙার জন্য সরাসরি কৃষক বা উৎপাদক থেকে এনে বাজারজাত করার কথা বলছি। এটা ব্যবসার সুযোগ। এর মধ্যেও ব্যবসা আছে। এতে গ্রাহকরা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায়। পুরো বাংলাদেশে পজেটিভ সংস্কারের কথা বলছি। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান এ ধরনের সামাজিক ব্যবসা করতে পারেন। এটা আপনাদের প্রমোশনে ভূমিকা রাখবে। ব্যবসার মধ্যেও যেন জনগণ উপকৃত হয়, ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায়, সেদিকেও আপনারা খেয়াল রাখবেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, একটা ঐতিহ্যবাহী জায়গা চট্টগ্রাম চেম্বার। আপনাদের দাবি আমি নোট নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব যাতে সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়। বিগত সময়ে শুধু সদিচ্ছা না থাকায় হয়নি। এ জায়গাগুলো অতিমাত্রায় রাজনৈতিক করে রাখা হয়েছে, পারিবারিকভাবে শোষিত হয়েছে। যদি সবার অংশগ্রহণ থাকত তাহলে আমি বিশ্বাস করি অর্ধেক সমস্যা সমাধান করে ফেলতে পারতেন। আমাদের সময়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব। আমাদের নিজস্ব সংগঠন নেই, নিজস্ব লোক নেই। আমরা প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক করতে সচেষ্ট থাকব। প্রশাসনকে পরামর্শ, তথ্য দিয়ে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved ©2022 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com