মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকা
ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকা এবং  অনলাইন ও ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া  এর জন্য সম্পূর্ণ  নতুনভাবে সারাদেশ থেকে জেলা, উপজেলা,বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সরকারি কলেজ,পলিটেকনিকে একযোগে সংবাদকর্মী আবশ্যক বিস্তারিত জানতে ০১৮১৬৩৯৩২২৩

বাফুফে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এখন বইছে নির্বাচনী উত্তাপ। আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। আর সেদিনই জানা যাবে নতুন করে কে বসতে যাচ্ছেন বাফুফে সভাপতির চেয়ারে। গত চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কাজি সালাহউদ্দিন এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে নেই। তার আগে গতকাল বাফুফেতে মতবিনিময় করতে এসেছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ক্রীড়া উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন না বাফুফের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য। তিনি বাফুফের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বাফুফের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। কর্মকর্তাদের না থাকার ব্যখ্যা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অনেককে নিয়ে দুদক কাজ করছে। এজন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসিনি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে পাশে রেখে বলেন, ‘বিসিবিতে গিয়েছিলাম। বাফুফে নির্বাচন চলছে। এ নিয়ে অনেক কিছুই শুনছি, অভিযোগও আছে। এজন্য আজ বাফুফেতে আসা। এ নিয়ে কথা বললাম।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাফুফে নির্বাচনই প্রথম। এই নির্বাচন নিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনই তাকিয়ে রয়েছে। তবে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সন্দিহান খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ‘বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় এ নিয়ে আমি সন্দিহান। আগের অনেক কাউন্সিলরই এখনো স্ব-পদে বহাল রয়েছেন। যাদের অনেকে পলাতক ও আসামি- এ রকমটা শুনেছি। ফিফার বাধ্যবাধকতা, বাফুফের নিয়মের দিকে সম্মান রাখতে হচ্ছে।’

ফুটবলে মাঠের অভাব দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে কয়েকদফা পিছিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংষ্কারের কাজ। ১১ অক্টোবর থেকে ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, মাঠের অভাবে সেটি দেড় মাস পিছিয়েছে। তবে মাঠ নিয়ে আশার কথাই শোনালেন উপদেষ্টা। ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রাথমিক বাজেট ছিল ৯৮ কোটি। সেটা বেড়ে এখন ১৫৫। আমার কাছেও ফাইল এসেছিল। আমি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছি। ফ্লাডলাইটে একটু সময় লাগতে পারে। এই স্টেডিয়ামে এত ব্যয়ের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই সেভাবে হয়নি। চট্রগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য ডেডিকেট করব।

দেশে একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল ফুটবল। এখন ফুটবলের আগের সেই অবস্থা না থাকলেও ফুটবলের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ‘প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১০ সালের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেই জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য অনেকাংশে দায়ী যারা বাফুফের দায়িত্বে ছিলেন। এমনও শুনেছি, এখানে পৃষ্ঠপোষকতা এলে ৭০% ব্যয় হয়, বাকি ৩০% পকেটে যেত।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved ©2022 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com