শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
এইচ,এম,জহিরুল ইসলাম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া (বিজয়নগর) প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আওলিয়ানগর মোহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) মাদ্রাসা মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোঃ ইসমাইল সরকার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে অভিযোগগুলো প্রকাশ করেন এবং এসব অভিযোগের লিখিত ডকুমেন্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দিয়েছেন বলে জানান।।
সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মাদ্রাসার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ তহবিলের অপব্যবহার, ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদির ক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।শিক্ষক নিয়োগে ঘোষ বাণিজ্য বিভিন্ন ছাত্রীদের শ্লীলতাহানিসহ বহু দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার মানহানি করছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “দুর্নীতি এবং দায়িত্বহীন আচরণে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যা অবিলম্বে রোধ করা প্রয়োজন।” তারা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন যেন দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতাপূর্ণ প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আরো অভিযোগ করেন ইতিমধ্যে দুই মাসের ওপর সময় গড়িয়ে গেলেও প্রশাসন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। প্রশাসনের দৃষ্টি আড়াল করে নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসেও বেতন উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং মহিলা শিক্ষকদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
২০১১ সালে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষেকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. আশরাফুল আলম দুর্নীতি প্রমাণ সাপেক্ষে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অধ্যক্ষের বহিষ্কারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেন এবং মাদ্রাসার স্বার্থে তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান এসিল্যান্ড কে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে তারা রিপোর্ট প্রদানের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ মুজাহেরুল হক জানান তদন্ত রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে এসেছে আমরা একটা শুনানির ব্যবস্থা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।