বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিভিন্ন সময়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিকট গ্রাহক ও বিক্রেতাদের পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়ার উদ্যােগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ক্ষতিগ্রস্ত এসব গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়টি। এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে মন্ত্রণালয়৷ আগামী ১৪ নভেম্বর এসব তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল কমার্স খাতের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, যেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিকট গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অর্থ পাওনা রয়েছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হলো।
তাছাড়া, যেসব গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য পাননি এবং বিক্রেতাগণ ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানকে পণ্য সরবরাহ করে বিক্রয়মূল্য বুঝে পাননি, তাদেরকে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে শুধু অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ দায়ের করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে ভালো সাড়া দিলেও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কো-অপারেট করছে না। এ কারণেই আমরা পাওনাদারদের অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি হবে এবং আইন অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের নিকট পাওনাদার গ্রাহক ও বিক্রেতা তালিকা দাখিল না করলে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের সার্কুলার নং ০৮/২০২১ তারিখ: ৩০ জুন ২০২১ অনুসারে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অনুকূলে পর্যায়ক্রমে ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া, যেসব গ্রাহক ও বিক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করবেন, তাদের অভিযোগসমূহ পর্যায়ক্রমে নিষ্পত্তির মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে অথবা ব্যাংক হিসাবে জব্দকৃত টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।