শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেখ শহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ আজ ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সহিংতি দিবস।১৯৭৫ সালে এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় দীর্ঘ প্রত্যয় মুখে নিয়ে সিপাহী জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। তাদেরকে ও বদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে রক্ষা পায় সত্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা কয়েকদিনের দুঃস্বপ্নের প্রহর শেষে সিপাহী জনতার ক্যান্টনমেন্টের দশা থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম কে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। তাই ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক অনন্য ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত দিন সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ এক নায়ক তন্ত্র একদলীয় শাসন জনজীবনের বিশৃঙ্খলা সহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যর অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃংখল পরিবেশে ফিরে আসে ১৯৭৫ সালে ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে তিনি নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চবিলাসী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্ধি করে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয় এ ঘটনায় দেশে সাধারণ জনগণ ও সিপাহীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ৬ নভেম্বরে মধ্যরাতে ঘটে সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ এক বিপ্লব যা ইতিহাসের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে স্থান লাভ করেছে দেশবাসী সেদিন জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ৭ নভেম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চক্রান্তকারীদের খবর থেকে দেশকে উদ্ধার করে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তিকে হিমাগারে ফেলে দিয়ে সত্যি কারের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিপ্লবের দরবারে স্থান করে দেয়। ওই সময় বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ গুটিকয়েক বৈদেশিক অনুচর ছাড়া এবং সশস্ত্র বাহিনীর পুরনো সমর্থন ও আস্থা নিয়ে দেশকে একটি উন্নতি অগ্রগতি ও শান্তির পথে নিয়ে যায়। সিপাহী জনতার মিলিত বিপ্লবে নুসরাত হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী দেশী বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শান্তির আগ্রসান থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
খুলনায় বিএনপি’র কর্মসূচি জাতীয় ঐতিহাসের এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য খুলনা মহানগর বিএনপি তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, বিএনপি’র মিডিয়া সেল মিডিয়া সেল প্রদত্ত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন আজ ৭ ই নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মহানগর বিএনপি কার্যালয় সহ সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১ টায় কেডি ঘোষ রোডস বিএনপি’র কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, দ্বিতীয় দিনে 8 নভেম্বর বেলা দুইটাই নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বর জমায়েত জমায়েতে শেষে জিয়া হল চত্বর থেকে বর্ণনাট্য রেলি শুরু হয়ে রয়েল মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয় গিয়ে শেষ হবে, তৃতীয় দিন ৯ই নভেম্বর মহানগর শহীদ হাদিস পার্কে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস, উপলক্ষ সমাবেশ সমাবেশ থেকে মোরগ উন্মোচন সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা ছয়টায় জাসাসের উদ্যোগে মনোজ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এছাড়া দিবস টি উপলক্ষ নগরীতে পোস্টারিং করেছেন বিএনপি।