বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। এবারও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। তবে বহাল থাকছে নানা ধরনের কোটা। হিসাব অনুযায়ী ৬৮ শতাংশই কোটা। এসব কোটার সুযোগ নিয়ে ভর্তিতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এবার প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নাতি-নাতনি কোটা বাদ দিয়ে শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটায় ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন গণভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানরা শতভাগ কোটা সুবিধায় ভর্তির সুযোগ পেতো। অন্যদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মতিঝিল এজিবি কলোনি কোটা রয়েছে। কলোনিতে বসবাস করা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা অলিখিতভাবে কোটা সুবিধা পেয়ে আসছে। এবার এই দুই কোটা বাতিল করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এই কোটা পদ্ধতি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক উভয় পর্যায়েই এক ধরনের চাপা ক্ষোভ ছিল। যা তখনকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়ে কেউ কিছু বলতেন না।
অভিভাকরা বলছেন, ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এ কোটা চালু করেছিলেন। কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের বাণিজ্য হয়, তাই এই কোটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্কুল শাখার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কোটায় ভর্তির বিষয়টা তো বিশাল বানিজ্যের। এ নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা আছে। এখন থেকে এ কোটা আর থাকছে না। অন্যান্য স্কুলের মতোই এগুলোতেও শুধু লটারির মাধ্যমেই ভর্তিচ্ছু নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নতনিদের জন্য যে ৫ শতাংশ কোটা ছিল সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ের জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর থেকে প্রথম-নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে।