বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
বিপ্লব হোসেন (ফারুক)ঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ড মোল্লা মার্কেট এলাকায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে চন্দ্রা গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অব্রজৌতি বড়ালের তত্ত্বাবধানে কাশিমপুর মোল্ল্যা মার্কেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্লিন সোর্ড অপারেশনে ১/৩ ইঞ্চি ২৫০ফিট ২৫ টি পাইপ, অফিসিয়াল তথ্য মতে ৬৪ বাড়ির জব্দকৃত রাইজার ২৮টি,,জব্দকৃত চুলা ১৯০ টি পাইপ ১৫০০ ফুট এর নয় ছয় হিসেবে এখানে অনেক গরমিল লক্ষণীয়। এ সময় ৩ জন বাড়ির মালিক কে অবৈধ গ্যাস সংযোগের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে অর্থদণ্ড দিয়েছেন। দন্ডিতরা হলেন স্হানীয় বাড়ির মালিক আশরাফ আলী ও সোহরাব মোল্লা আর একজনের নাম জানা সম্ভব হয়নি,তাদের নিকট হতে মোট ১,৯০,০০০ হাজার টাকা আদায় করে দন্ড মুকুব করা হয়।
অভিযান শুরু করা হয় দুপুরে ১ টা ৪৭মিঃ হতে বিকেল ৫টা ৫০ মিঃ পর্যন্ত, বিশাল এলাকার অসম্পূর্ণ অভিযানটির রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় সময়ের সংকীর্ণতায় জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে অধিকাংশ বহুতল ভবনে অভিযান না চালিয়ে আবাসিকে ছোট খাটো বাড়িগুলোতে বেশীর ভাগ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষের ছাপা ক্ষোভ তুষের আগুনের মতো জ্বলছে। তারা বলছেন যারা পাঁচ তলা চার তলার বাড়ির মালিক তাদের মাঝে দু একজনের একটি বা দুটি চুলার বৈধ অনুমোদন থাকলেও প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ টি চুলা তাদের কে তারা দেখিনি এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করিনি। ক্ষুব্ধ জনতার যেন অভিযোগের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষের বক্তব্যে অনেক কিছু উঠে এসেছে তারা বলছেন তিতাস কর্তৃপক্ষ কালে-ভদ্রে অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের উপর তার প্রভাব পড়ে ধনীদের বেলায় সাত খুন মাপ ধনী বাড়ির মালিকরা অভিযান পরিচালনার পূর্ব মূর্তে তারা আগাম সংবাদ পেয়ে সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করেন। তারা বলছেন শুধু মোল্লা মার্কেট কেন কাশিমপুরের আনাছে কানাচে সর্বত্রই অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। সে সমস্ত জায়গায় কেন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় দালাল সিন্ডিকেটের গোপন সমবুঝতায় বিচ্ছিন্ন সংযোগ গুলো স্থানীয় মিস্ত্রিদের দিয়ে দ্রুতই মেরামত করিয়ে নিয়ে পুনরায় অবৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয় আর এ থেকে অন্যায় ভাবে লাভবান হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যক্তি সমূহ যাদের মাঝে এমন ব্যক্তি রয়েছেন তারা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন, স্পর্শকাতর এই সম্পদ নিয়ে চলছে আলো আঁধারের খেলা। সুশীল সমাজ বলছে রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ সময়ের নিয়ম অনিয়মের মধ্যে দিয়ে ভূগর্ভস্থ বহু মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার তাই তারা পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।