বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন ৩নং ওয়ার্ড এনায়েতপুর এলাকায় এক ভয়ংকর ভূমিদস্যু রমজান দলীয় নাম ব্যবহার করে গড়ে তুলেছে অস্ত্রধারীএক ভয়ঙ্কর পেটুয়া বাহিনী।ইতিমধ্যে তার কর্মকান্ডে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রাতের ঘুম হারিয়ে অনিদ্রা অর্দাহারে দিনাতিপাত করছে এলাকার সাধারণ মানুষ। সে যে দলের নাম ব্যবহার করে নিজেকে ডন মনে করে প্রকৃত অর্থে এই দলের কোন হিতাকাঙ্ক্ষী সে নয় তার লক্ষ্য ভূমিদস্যুতায় উপার্জনে চাঁদ সূর্য স্পর্শ করা, তার বড়ো ভাই ইদ্রিস আলী আওয়ামিলীগের একজন সমর্থক,সে নিজেকে বিএনপির যুবদলের পদধারী নেতা দাবী করলেও দলের দুর্দিনে কোন মিটিং মিছিলে সে ছিল অমাবস্যার চাঁদ যা দলীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, কিন্তু তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ প্রতিপক্ষ গুলো রাজনৈতিক মামলা ঠুকে অনেক সময় নিভৃত রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে, যার ফলশ্রুতিতে রাজনৈতিক দলের সমীহ আদায়ে পরিচিতি লাভ করে, আর এই সম্বলই যেন তার বিশাল অর্জন , বিগত আওয়ামীলীগ শাসন আমলেও বড় ভাইয়ের ছত্র ছায়ায় এলাকায় তার ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও থানায় মামলা করার মতো দুঃসাহস কেউ দেখায়নি, তবে কালে-ভাদ্রে কিছু ভুক্তভোগী জীবনের মায়া ত্যাগ করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে আইনের আশ্রয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী সহ বহু মামলা আদালতে বিচারাধীন,৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে উক্ত এলাকার আবুল কাশেম নামের ছাত্রদলের এক নেতার বাড়িঘর ভেঙ্গে দখলে নিয়েছে,একই এলাকার আইয়ুব আলী নামের এক নিরীহ ব্যক্তির দোকানপাট ভেঙ্গে দখলে নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তার পেশা তঞ্চকথাপূর্ণ ভুমি নাম মাত্র লেনদেনে কোন প্রকার খাজনা খারিজ ছাড়া অলৌকিক ভাবে তার নামে অথবা স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করে কিংবা চুক্তিপত্র দলিল করে ভূমির মালিকানা দাবি করে সেই ভূমিতে তার বাহিনী নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে দখলে নিয়ে বিক্রয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া একমাত্র ব্যবসা। রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার স্বপ্নবিভোর মানুষটি হেন কোন অপকর্ম নেই যা তার দ্বারা করা অসম্ভব। তার নিয়োজিত ভূমি দালালদের ইন্দ্রজালে অনেকই সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। বিগত দিনে থানা পুলিশ থেকে শুরু করে কিছু গণমাধ্যম কর্মীও ছিল তার কব্জায় যে কারণে অসংখ্য অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি ধামাচাপা পড়ে যায়। জয়দেবপুর থানার সাধারণ ডাইরি নং ১১৮৬ বাদীনি নাসরিন আক্তার, ২০০৭ সালে জনি নামের এক ব্যক্তির ভূমি দখলে নিতে তার উপর চালিয়েছে পৈচাশিক নির্যাতন যার জের ধরে জনির স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানা একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং (০৭)১৪৩ /৪৪৭/ ৪৪৮/৩২৩ /৩২৪ /৩২৬ /৫০৬, পূর্ব এনায়েতপুর সবুজ কানন এলাকায় ডিস ব্যবসা কে কেন্দ্র করে আসানুল্লাহ নামের এক নিরীহ লাইনম্যানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে যে ঘটনায় খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ১নং বিবাদী রমজান আলীর বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় একটি মামলা রুজু করে মামলা নং(১০৮) এর ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৬, ৩০৭ ধারায় মামলাটি রুজু হলে কিছুদিন জেল হাজতে ছিল। এরই মাঝে গোবিন্দ বাড়ি মৌজায় সিএস ১ নং খতিয়ানের ৮২৫ দাগের আরএস ২৭৭৪দাগের ভূমি নাম মাত্র লেনদেনে কাশিমপুর ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী কোন প্রকার খাজনা খারিজ ছাড়া তার বড়ো ভাই ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে বিগত বি,এস জরিপ চলাকালে রেকর্ড করাতে গেলে উল্লেখিত দাগের ভূমি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে জয়দেবপুর সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে দৈনিক অগ্নি শিখা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন ফারুকের উপর তার বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে তার ব্যবহৃত ক্যামেরা মোবাইল ভাঙচুর করে মোটরসাইকেলের চাবি দ্বারা মুখে সজোরে আঘাত করে নিচের চোয়ালের একটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে এ ব্যাপারে সাংবাদিক ফারুক বাদী হয়ে জয়দেবপুর সদর থানা একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং(৫০)২৬/১০/২৩, ধারা ১৪৩ /৩২৩ /৩০৭ /৪২৭/ ৫০৬ , শুধু আক্রমণ চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি উল্টো সাংবাদিক ফারুকসহ মোট ৭ জন সাংবাদিককে বিবাদী করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে যা পিবিআই তদন্তে চাঁদাবাজি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। বর্তমানে ৩ নং ওয়ার্ড হাতিমারা এলাকায় ৭০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ ব্যক্তির জমি দখলে নিতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বৃদ্ধ মানিক মিয়ার পরিবারের লোকজনের উপর আক্রমণ চালিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিলে ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ১নং বিবাদী রমজান আলীসহ তার নিয়োজিত অন্যান্য কিলারদের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় একটি সন্ত্রাসী ও শ্লীলতা হানি সহ চুরির মামলা রুজু করেন মামলা নং(০৫) ৬/১১/২৪, ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬,৩০৭, ৩৫৪, ৩৭৯, ৪২৭, ১১৪, ৫০৬ ধারায় রুজু করা হয়। এ ব্যাপারে মোবাইলে তার বক্তব্য জানতে চাইলে এই প্রতিবেদক-কে দল ক্ষমতা আসলে দেখে নওয়ার হুমকি দিয়ে রাখে। সুশীল প্রভাবশালী হেভি ওয়েট নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তার এহেন অপকর্ম যেন নিত্য নৈমিতিক ঘটনা।দলীয় বিবেচনায় ও বিজ্ঞ জনের মতামতের বিত্তিতে এমন বিষফোঁড় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে বলে তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় সমর্থকদের ধারণা।