অগ্নিশিখা অনলাইন
- ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ / ১৭ জন দেখেছে
মোঃ বিপ্লব হোসেন(ফারুক): গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন ৫ নং ওয়ার্ডের সুরাবাড়ী এলাকায় ভূমি বিরোধীদের জের ধরে সাংঘর্ষিক ঘটনায় প্রভাবশালী একটি চক্রের মামলায় বয়স্ক নারী পুরুষ সহ মোট ৩২ জনকে বিবাদী করা হয়,তার মাঝে ৫ জন সাংবাদিক যারা এই সাংঘর্ষিক ঘটনার সঙ্গে কোন ক্রমেই জড়িত নয়। এই পাঁচজনের একজন কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বিপ্লব হোসেন ফারুক, যে কি না মামলার আরজির বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ও সময়ে ময়মনসিংহে অবস্থান করছিল।
স্থানীয় সূত্রে ও ঘটনার বিবরণীতে জানা যায় বিশ্বাস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অবৈধ দখল নিয়ে ভূমির প্রকৃত মালিক হাবেল গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলমান এ অবস্থায় হাবেলগং বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতের দেওয়া রায় ও ডিগ্রী অনুযায়ী উল্লেখিত ভূমিতে অবস্থান করা কালে বিগত একুশে ডিসেম্বর বাদী পক্ষের আরজির বিবরণের তারিখ অনুযায়ী সকাল অনুমান ১১,৩০ ঘটিকায় মাহবুব পক্ষ গনের সাথে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, সংবাদ পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ও সাংবাদিকগন ঘটনা স্হলে উপস্থিত হন এবং ঘটনার চিত্র ধারণ কালে ২৬ নং বিবাদী থেকে ৩০ নং বিবাদীদের এস আই মিজান চিত্র ধারনে বাধা প্রদান করলে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মিজান ভূমি মালিকদের অভিযোগের আলোকে মামলার সঙ্গে রং মিশিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে বাদী পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে সি আর পি সির ১৩৮ ধারা বিধি অনুসরণ না করেই তরিগড়ি করে সাংবাদিকদের জড়িত করে ঘটনার সাথে সাদৃশ্য রেখে মামলাটি এফ আই আর করা হয়।
৩১ নং বিবাদী ইতিপূর্বে এসআই মিজানের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে।ভিন্ন এক সূত্রে জানা যায় বিগত দিনে হীন আচরণের কারণে তাকে রেলওয়ে পুলিশে বদলী করা হয় কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কাশিমপুর থানায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত থাকায় সুযোগ সন্ধানী এই এস আই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোবের আগুনে ফুসছে। কাশিমপুর থানা পুলিশের এমন বিভৎসতা ও গর্হিত আচরণে সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মুখেমুখে গোটা পুলিশ প্রশাসন কে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করছে এসআই মিজানের মত পুলিশ অফিসার। এসআই মিজান ও কাশিমপুর থানার সামনে ল চেম্বারে ঝাড়ুদার বাবু নামের সুঠাম দেহের অধিকারী এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী নাটক সাজিয়ে সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, পড়াশোনা জানা না থাকলেও সুঠাম দেহের অধিকারী বাক পটু বাবু নিজেকে উকিল সরকারি কখনো পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে দাপটের সঙ্গে এস আই মিজানের সঙ্গী হিসাবে নানান অপকর্মে জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে জানা যায়। তাহার এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রকাশ্য কেহ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। জানা যায় কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও এসআই মিজান উত্তরবঙ্গের লোক হওয়ার সুবাদে ওসির কাছের লোক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে বাবু কে সঙ্গে নিয়ে বলগাহীন ঘোরার মত বেপরুয়া দুর্ধর্ষ হয়ে উঠছে এসআই মিজান । প্রশ্ন হল ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশের সহযোগিতা ও আদালতের বিধি নিষেধ আরোপের বিষয়টি দেশের ক্লান্তি লগ্নে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে যা ন্যায় বিচারের স্বার্থকে বিঘ্নিত করছে, অবস্থা দেখে সাংবাদিকগণ স্বাধীন সংবাদ প্রকাশে বিগত দিনের অসঙ্গতি বলেই মনে করছেন সাংবাদিক মহল।