বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ তদন্তে সাংবাদিক কেন আসামির কাঠগড়ায়??

মোঃ বিপ্লব হোসেন ফারুকঃ গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের সুরাবাড়ী এলাকায় ভূমি বিরোধীদের জের ধরে সাংঘর্ষিক ঘটনায় প্রভাবশালী একটি চক্রের মামলায় বয়স্ক নারী পুরুষ সহ মোট ৩২ জনকে বিবাদী করা হয়,তার মাঝে ৫ জন সাংবাদিক যারা এই ঘটনার সঙ্গে কোন ক্রমেই জড়িত নয়। এই পাঁচজনের একজন কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বিপ্লব হোসেন ফারুক, যে কি না মামলার আরজির বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ও সময়ে ময়মনসিংহে অবস্থান করছিল।

স্থানীয় সূত্রে ও ঘটনার বিবরণীতে জানা যায় বিশ্বাস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অবৈধ দখল নিয়ে ভূমির প্রকৃত মালিক হাবেল গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় হাবেলগং বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতের দেওয়া রায় ও ডিগ্রী অনুযায়ী উল্লেখিত ভূমিতে কাশিমপুর ভূমি কর্মকর্তার সরেজমিনে উপস্থিত থাকার জন্য একটি নোটিশ প্রদান করেন , এই নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তি আজকের মামলার ১নং বিবাদী মালেক সহ তার অংশিদারদের নিয়ে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে অবস্থান করা কালে অবৈধ দখলদার অর্থাৎ এই মামলার বাদী পক্ষের উগ্রপন্থী আচরণে সংঘর্ষের আশঙ্কা অনুমান করে বিবাদী মালেক কাশিমপুর থানা পুলিশকে মুটো ফোনে বিষয়টি অবগত করেন, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অবগত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। বাদী পক্ষের আরজির বিবরণের তারিখ অনুযায়ী ২১ নভেম্বর সকাল অনুমান ১১,৩০ ঘটিকায় মাহবুব পক্ষ গনের সঙ্গে সৃষ্ট সংঘর্ষের বিষয়টির বিবাদীপক্ষের সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমপুর থানার পুলিশ ও সাংবাদিকগন ঘটনা স্হলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার চিত্র ধারণ কালে ১৫ নং২৯/৩০ নং বিবাদীদের এস আই মিজান চিত্র ধারনে বাধা প্রদান করলে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মিজান ভূমি মালিকদের অভিযোগের আলোকে মামলার সঙ্গে রং মিশিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই না করে বাদী পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৬ ধারা অনুসরণ না করেই তরিগড়ি করে সাংবাদিকদের জড়িত করে মামলাটি এফ আই আর করা হয়। অজ্ঞাত কারণে ঘটনাস্থল দেখানো হয় ৫ নং ওয়ার্ড, মুলত ঘটনার স্হল ৩ নং ওয়ার্ড হলেও এফ আই আর কালে ৫ নং ওয়ার্ড উল্লেখ করা হয যাহা পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্তের ভূমিকা কে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে । ৩১ নং বিবাদী ইতিপূর্বে এসআই মিজানের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সংক্ষুব্ধ এস আই মিজান ৩১ নং বিবাদী সাংবাদিক ফারুকের বিষয়টি একান্তভাবে জেনেশুনে তাহাকে উক্ত মামলার আসামি করা হয় বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে নিশ্চিত হন তিনি। যে কি না ঘটনার আরজির সময় ও দিনের বর্ণনা অনুযায়ী ময়মনসিংহে অবস্থান করছিলেন।ভিন্ন এক সূত্রে জানা যায় বিগত দিনে হীন আচরণ ও অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে এস আই মিজানকে রেলওয়ে পুলিশে বদলী করা হলেও অজ্ঞাত কারণে অদ্যাবদী কাশিমপুর থানায় কর্মরত থেকে সুযোগ সন্ধানী এই এস আই মিজানের এমন বিভৎসতা ও গর্হিত আচরণ সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মুখেমুখে থাকায় কাশিমপুর থানা পুলিশের কর্মকাণ্ড আজ প্রশ্নের সম্মুখীন।

এসআই মিজান কাশিমপুর থানার সামনে ল চেম্বারে ঝাড়ুদার বাবু নামের সুঠাম দেহের অধিকারী এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী নাটক সাজিয়ে সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা মামলা হামলার ভয়ে সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।পড়াশোনা জানা না থাকলেও সুঠাম দেহের অধিকারী বাক পটু চতুর বাবু নিজেকে কখনো উকিল সহকারী কখনো পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে দাপটের সঙ্গে এস আই মিজানের সঙ্গী হিসাবে বাবু ও এসআই মিজান নানান অপকর্মে জড়িত রয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে জানা যায়। কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও এসআই মিজান উত্তরবঙ্গের লোক হওয়ার সুবাদে ওসির কাছের লোক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে বাবু কে সঙ্গে নিয়ে বলগাহীন ঘোরার মত বেপরুয়া দুর্ধর্ষ হয়ে উঠছে এসআই মিজান। মামলার সার্বিক বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম কে মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের মামলায় জড়ানোর কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আর্জিতে সাংবাদিক শব্দটির উল্লেখ নেই বিধায় প্রশ্নটি অবান্তর ও প্রাসঙ্গিক, আজ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অফিসার ইনচার্জের এমন কথায় প্রমাণ করে যে মামলাটি যথাযথ ভাবে আসামির বিষয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে ঘটনার গভীরে প্রবেশ না করে এফ আই আর করা হলো। এমন ঘটনা বলি ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশের সহযোগিতা ও আদালতের বিধি নিষেধ আরোপের বিষয়টি দেশের ক্লান্তি লগ্নে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। থানার সামনে বাবুর ল চেম্বারই যেন আজ মিনি আদালত, এখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক ১৪৫ ধারার পুলিশি বিধান পালন না করে উভয়পক্ষকে ডেকে নিয়ে মীমাংসার নামে সালিশ বসিয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে ভিতী প্রদর্শন করে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায় ভাবে লাভবান হয়ে আসছে এস,আই মিজান। এস আই মিজানের কথার পক্ষ প্রতিপক্ষ অবাধ্য হলে তার ওপর নেমে আসে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের অত্যাচারের স্টীম রুলার এবার ড্রাইভিং এর ভূমিকায় এসআই মিজান । যা আদালতের ন্যায় বিচারের স্বার্থকে বিঘ্নিত করছে বলে বিজ্ঞজনরা মতামত পোষণ করছেন । অবস্থা দেখে স্বাধীন সংবাদ প্রকাশে বিগত দিনের অসঙ্গতি বলেই মনে করছেন সাংবাদিক মহল।এলাকায় মিথ্যে মামলায় সাংবাদিক জড়ানোর চাঞ্চল্যকর আলোচিত বিষয়টি গাজীপুর সাংবাদিক সমাজ সহ সুশীল সমাজের দেশ প্রেমিক গুণীজন ঘটনার সত্যতা নিরূপণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রশাসনের উদ্যতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com