বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
শেখ শহিদুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানা দিন ১৪ নং ওয়ার্ডের রায়ের মহল পশ্চিমপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই নারীকে মারধরসহ শীলতা হানি ও স্বর্ণের চেইন নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা খান আলী সিদ্দিক সাগরের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত দুই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা হল, শেখ জামাল হোসেনের স্ত্রী সোমা বেগম ( ৩৫) ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ডেইজি বেগম (৩৮) এ বিষয়ে গৃহবধূ স্বামী বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে। আহত ২,৩, জনের বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মৃত খান সবুরের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা খান আলী সিদ্দিকী সাগর (৪০ ) শেখ সিরাজের ছেলে শেখ শামীম (১৮) ও খান আলী সিদ্দিক সাগরের স্ত্রী মনোয়ারা ওরফে রুবি (২৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে হইতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে শত্রুতা চলে আসছে। গত ৫ ডিসেম্বর রাতে নিজের জমি জমা ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিকভাবে আলাপ আলোচনা কালে অভিযুক্তরা ঘরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে সোমা বেগম (৩৫) কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে এ সময় ঠেকানোর জন্য ডেইজি বেগম আসলে তার পরনের কাপড় তা না হেঢড়া করে শীল হানির করে, তাদের চিৎকারে এলে কার লোকজন আসলে অভিযুক্তরা জীবন,নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায় আহত ডেইজি বেগম বলেন আওয়ামী লীগ নেতা খান আলী সিদ্দিকী সাগর কৌশলে আমার বড় ছেলের স্ত্রীর নগ্ন ছবি তুলে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিন। এছাড়া ও বিএনপি’র মিছিল মিটিংয়ে যাওয়ার আমার ছেলেকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিছুদিন আগে আবার সে আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমি দিতে না পারায় আমাদের উপর এই আক্রমণ ও শিলহানির করে, প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আহত ডেজি বেগমের ছেলে ছাত্রদল নেতা শেখ ইমন বলেন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আমাদের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা খান আলী সিদ্দিকী সাগর তার বাহিনী নিয়ে এখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি এই সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল কথা সাগরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুহিনুজ্জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে আহতদেরকে আমি নিজে দেখে এসেছি এবং তাদের কথা শুনেছি, অবশ্যই তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।