বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
বিপ্লব হোসেন ফারুক,গাজীপুরঃ গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন সি টি এরিয়ায় ৬ টি ওয়ার্ডেই আনাচে কানাচে এক শ্রেণীর প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে মাদক কারবারীদের বিভিন্ন আড্ডা স্থল যেখানে শুধু মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ই চলে না, চলে অসামাজিক নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমের বিচারিক ব্যবস্থা, তাদের এজেন্ডায় রাখা হয় ভূমি জবর দখল চুরি ছিনতাই অপহরণের মতো ঘটনা গুলোর নীলনকশার প্রকল্প বাস্তবায়ন। এ ব্যাপারে প্রতিবাদীদের পক্ষ থেকে টু শব্দ হলেই সৃষ্ট ঘটনার সাথে মিল রেখে পরিবারের কাউকে না কাউকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মিথ্যে মাদক কিংবা ঘটনার সাদৃশ্যতায় ভৌতিক মামলা, যে কারণে সমাজের জ্ঞানী গুণীজন সহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদের ভাষা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছে।
সাংবাদিকদের ঠুটি চেপে ধরতে থানায় আগত ভুক্তভোগী অভিযোগকারীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় অভিন্ন কৌশলে সাজানো মামলায় আসামি করা হচ্ছে। একশ্রেণীর প্রভাবশালী ভূমি দালাল চক্রব্যূহ তৈরি করে দখল বাণিজ্যে মেতে উঠে গোটা প্রশাসনকেই যেন কব্জা করে ফেলেছে। বর্তমানে তাদের ইশারায় সাধু কে বানানো হচ্ছে চোর, আর চোরকে বানানো হচ্ছে সাধু। এরই কালো থাবায় একটি প্রভাবশালী মহল সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা কে অতল গহবরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা নানাবীধ বাধা বিঘ্নতায় ঘটনা স্থল থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছে না, বিগত দিনে ৩ নং ওয়ার্ডের ভূমি বিরোধে সাংঘর্ষিক ঘটনায় এক সাংবাদিক ঘটনা স্থলে উপস্থিত না থাকলেও কাশিমপুর থানা পুলিশ হীন স্বার্থ হাসিলে শুধু মাত্র অনুমান নির্ভর হয়ে তাকে অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। ভূমি বিরোধে উভয় পক্ষের সাংঘর্ষিক ঘটনায় থানায় আসা এক পক্ষের মামলা আমলে গ্রহণ করলেও অন্য পক্ষকে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক এফ আই আর কৃত মামলার আসামি করে আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।
থানার আশপাশে গড়ে উঠা ল-চেম্বার গুলোর দু-একটির মাঝে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির নামে ভূমি দালালদের নিয়ে চলে প্রহসনের বিচারিক নাটক, এর মঞ্চায়নে সহযোগী ল- চেম্বারে নিয়োজিত দালাল যাহা আদালতের বিচারিক কার্যক্রম কে বিঘ্নিত করছে। শক্তিশালীদের তাবায় ভূমির দখল হারানোর ভয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কতৃক ১৪৫ ধারার বিধিঃ বাস্তবায়নে পুলিশের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কাশিমপুর থানা পুলিশ মীমাংসার নামে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দিনকে দিন ভিন্ন নাটকীয়তার জন্ম দিচ্ছে। এমন তথ্য গুলো ভুক্তভোগীদের বক্তব্য থেকে উঠে এসেছে। হতাশাগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন ডাঙ্গায় বাঘ জলে কুমির তারা এখন কোন পথে যাবেন?