বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
কোহলির ‘ইচ্ছাকৃত ধাক্কা’ ইস্যুতে যা বললেন অভিষিক্ত কনস্টাস সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পর্শে জামাই – শশুরের মর্মান্তিক মৃত্যু জাপান এয়ারলাইন্সে সাইবার হামলা সচিবালয়ে আগুন: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের উলিপুরে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ওসমানীনগরে ৫ শত বছরের প্রাচীন জামে মসজিদ ও মাজারে যাতায়াত রাস্তা প্রতিবন্ধকতা অপসারণ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পলাশবাড়ীতে আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি ফুটপাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে সরেজমিন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ

অগ্নিশিখা ডেস্কঃ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর)। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখনই’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাণী দিয়েছেন।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় যে জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকার দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, মানুষের সর্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য ও অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সবার নিরাপত্তা বিধান এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেও মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীনতা, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনসাধারণের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তৃণমূল পর্যায়ে কমিশনের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। সমাজে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

 

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com