বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন
শেখ শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান সাবেক স্ত্রী। হত্যার দুই বছর পর তিনি অভিযোগ করেন।শেখ বাড়ির বিরুদ্ধে কথা বলায় সাগরকে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়েছে শেখ সোহেল ও তার লোকজন। এতদিন ভয়ে কিছু বলার সাহস করেননি।
লাশের ময়না তদন্তের দাবি সকলের, পুলিশ বলেছে আবেদন পেলে তারা আইনে দিক খতিয়ে দেখবে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ২০২২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি সকালে বাসা থেকে বের হন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান সাগর, কিছুক্ষণ পর পরিবারের কাছে খবর আসে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাগর, পরে পরিবারকে না জানিয়ে শেখ সোহেল ও তার লোকজন তড়িঘড়ি করে নিয়ে যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে ঢাকা নেওয়ার পর মৃত্যু হয় সাগরের, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়, কিভাবে কখন কোথায় সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে জানতে পারেননি স্ত্রী, তিনি দাবি করেন তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, নিহত মনিরুজ্জামান সাগরের স্ত্রী আফরোজা সুলতানা রুনু বলেন, আমার দেখার মতো কেউ নেই, আমার বাবা নেই ভাই নেই শ্বশুর নেই, আমার স্বামী বেঁচে থাকতে আমি একেবারে ঘরোয়া ছিলাম, মারামারির কিছু শুনিনি আমাকে বলল এক্সিডেন্ট আমি প্রথম ওইটুকুই শুনেছি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনার সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম বাপ্পি শেখ পরিবারের সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, আপনারা আইনের আশ্রয় নিন থানায় যান মামলা করেন।
তিনি বলেন সাগরের লাশ উঠিয়ে পোস্ট,মর্টেম করা হোক ও খতিয়ে দেখা হোক এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এটা বেশ আগের ঘটনা, আমি তখন এখানে দায়িত্বে ছিলাম না। এটা ওই সময় যারা কর্মরত ছিলেন। শুধু তারা বলতে পারবেন, আবার রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বলেছেন, অসংখ্য উত্তর সাক্ষী খুলনার শেখ বাড়ি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের পর বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।