সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
সচিবালয়ে আগুন: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে রাশিয়ার প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান নবীগঞ্জে যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিমের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতা পলের শীতবস্ত্র বিতরণ ওসমানীনগরে বিবিয়ানা মডেল ফার্মেসী উদ্ভোদন রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে যে বার্তা দিলেন ড. ইউনূস ব্যাংককের হোটেলে আগুন, নিহত ৩ তরুণ প্রজন্মই মাদক ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেঃলায়ন সহিদুল ইসলাম খোকন বালসাবাড়ী, মুহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ছাত্রদল নেতা সোহেল আহমদ হবিগঞ্জে সরাইলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বালু সহ ট্রাক্টর আটক

শেখ হাসিনা ও মঈন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

আদালত প্রতিবেদকঃ পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনা ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শহীদ সেনা সদস্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবী তাসমিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ দাখিল করেন।

পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস‍্যরা জানান, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ধ্বংসের নীলনকশা প্রণয়ন করে।

সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রথম শিকারে পরিণত হয় বাংলাদেশ রাইফেলসে তৎকালীন কর্মরত পেশাদার, সৎ-দক্ষ, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের একটি অংশ। শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের নিজের স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ও প্রধানতম অন্তরায়-বিপত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে সেনা অফিসারদের এবং তাদের পরিবারের ওপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অন্যান্য আসামিরা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনার পরিকল্পনাধীন স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সহজ ও চিরস্থায়ী করতে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত পিলখানা সদর দপ্তরে তৎকালীন বিডিআরে কর্মরত দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র সেনাবাহিনীর অফিসার এবং তাদের পরিবারকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে পদ্ধতিগত উপায়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে, ভিক্টিম সেনাবাহিনীর অফিসারদের এবং তাদের পরিবার-পরিজনকে আটকাবস্থায় জিম্মি করে, কিছু মৃত সেনাবাহিনীর অফিসারদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে, লুটপাট চালিয়ে এবং শারীরিক-মানসিকভাবে আঘাত ও লাঞ্চিত করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। তখনকার নৃশংস ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা অফিসারসহ সর্বমোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

তাদের অভিযোগ, শেখ হাসিনা এ গণহত্যাকে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীসহ সব দেশপ্রেমিক জনগণকে কড়া বার্তা দেওয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে। এই মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার মাধ্যমে সমগ্র সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতাদর্শ বাস্তবায়ন, লুটপাট, রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো প্রতিবাদ করার সাহস ও শক্তি হারিয়ে ফেলে।

তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা এবং তার দোসর কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার সব শহীদ, আহত-পঙ্গু ও গুমকৃত ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি ও অনুরোধ জানাচ্ছি।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com