শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে, তারা বোঝাতে চান, আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি, আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।
শনিবার (২১ ডিসম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র ৬ষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনও কিছুর মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনও পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে ৫টি বড় চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, একটি হচ্ছে আর্থিক শৃঙ্খলা খাতে ও সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য তৈরি করা। তথ্যের সত্যতা, পেশাদারত্ব এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে অগ্রগতি হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা খাত, সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থা থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড় করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ব্যাংক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বোর্ড অব এডিটরসের নীতি- নির্দেশনায় ব্যাংকিং অ্যালমানাক-এর এই অগ্রযাত্রা। ২০১৬ সাল থেকে এডিটোরিয়াল বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।