শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনের রাষ্ট্র-সমর্থিত হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে প্রবেশ করেছে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের কর্মক্ষেত্র ও গোপন নয়, এমন কিছু নথিতে প্রবেশ করতে পেরেছেন হ্যাকাররা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা সম্পর্কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসি নিউজকে বলেন, কোনো ভিত্তি ছাড়াই কাদা–ছোড়াছুড়ির অংশ হিসেবে এই অভিযোগ করা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, হ্যাকাররা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সিস্টেমে ও গোপন নয়, এমন কিছু নথিতে প্রবেশ করতে পেরেছেন। হ্যাকিংয়ের এই ঘটনাকে ‘বড় ঘটনা’ হিসেবে বিবেচনা করে এর প্রভাব খতিয়ে দেখতে এফবিআই ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, বিয়ন্ডট্রাস্ট ৮ ডিসেম্বর হ্যাকিংয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করেছিল। কোম্পানিটির মতে, ২ ডিসেম্বর তারা প্রথম সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। তবে এর তিনদিন পর কোম্পানিটি বুঝতে পারে যে তাদের হ্যাক করা হয়েছে।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, হ্যাকার গোষ্ঠী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মীর কর্মক্ষেত্র ও তাদের কাছে রাখা গোপন নয়, এমন নির্দিষ্ট কিছু নথিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে কোন নথি হ্যাকারদের হাতে পড়েছে ও কত সময় ধরে হ্যাকিং হয়েছে, তা জানায়নি মন্ত্রণালয়।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলেছে, চীনভিত্তিক ওই হ্যাকার গোষ্ঠী অফিসের বাইরের পরিষেবা প্রদানকারীদের ব্যবহার করে মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছে। এই সিস্টেম ব্যবহার করে কর্মীরা অফিসের বাইরে থেকে মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে ঢুকে কাজ করতে পারেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, হ্যাকিংয়ের পর থেকে বিয়ন্ডট্রাস্ট নামের ওই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে হ্যাকারদের প্রবেশের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সাইবার সিকিউরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি সংস্থা এবং ফরেনসিক তদন্তকারীরা এই ঘটনার সার্বিক প্রভাব খতিয়ে দেখতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, চীনের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট একটি হ্যাকার গোষ্ঠী (এপিটি) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।