বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
ওসমানীনগরের মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে থানা পুলিশের মতবিনিময় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রিপোর্ট নিয়ে যা বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও দুই-তিন মাস লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা আবু সাঈদকে নিয়ে কটূক্তি: মানহানির মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট তাপসীর বিচার শুরু সাবেক এমপি স্মৃতিসহ ৫৬ জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা বিপিএলের ফিক্সিং তদন্তে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন বিসিবির এ বছর পশ্চিম তীরে ১০ শিশুসহ ৭০ ​​জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস সোনারগাঁয়ে ২০ মামলায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার নির্দেশে আমলাপাড়ায় ব্যবসায়ীর ছেলের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধর, থানায় অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা নির্দেশে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীর ছেলে-পূত্রবধূসহ পরিবারের সদস্যদের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির আহমেদ। আগে ২২ ডিসেম্বর নগরীর আমলাপাড়া এলাকায় ‘আমলাপাড়া গার্লস হাই স্কুল’ সংলগ্ন মাছুয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।

থানায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তারা হলেন, আমলাপাড়া এলাকার পাগলার ছেলে বাহার ও রাহাত, ইসলামের ছেলে অনিক ও শাওন, বাবুলের ছেলে আদর, বাবু, টিনা ও একউ এলাকার জুয়েলের ছেলে তারিক।

অভিযোগ পত্রে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন, ‘গত ২২ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় আমার বড় ছেলে মারবিন হাসান দূর্জয় কে নিয়ে ইন্টারনেট ওয়াইফাইয়ের কাজে হকার্স মার্কেটে ব্যস্থ ছিলাম। এসময় অভিযুক্তরাসহ আরো ১০-১৫ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী উপস্থিত হয়ে আমার ছেলের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকী দেয়। এতে আমার ছেলে প্রতিবাদ করিলে তারা হাতুরী ও দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় আমার ছেলে জীবন নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পৌছালে আমি সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হই। প্রাথমিকভাবে কর্তব্যরত ডাক্তারের মাধ্যমে ছেলের চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা শেষে রাত ৯.৪৫ মিনিটের সময় বাসার গেইটে পৌঁছলে অভিযুক্তরা পুনরায় আমাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং আমার ৩ পুত্র, বড় পুত্রবধূ এবং আমার স্ত্রী সহ আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো আমার পুত্র বধূকে শারীরিকভাবে কিলঘুষি, লাথি মারার কারনে তার গর্ভে থাকা ৩ মাসের সন্তান দুনিয়ায় আসার আগেই নষ্ট হয়ে যায়।

অভিযুক্তরা ২য় দফায় আহত করার কারনে আমরা চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যেতে চাইলে তারা আমাদের খানপুর হাসপাতালে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয় ও চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র নিয়া যায়। তাদের ভয়ে বর্তমানে আমরা এলাকা ছাড়া এবং ভয়ংকর মানবেতর জীবন যাপন করছি।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com