মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ: ২০২২ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে যুবদল কর্মী শাওন আহম্মেদকে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন সময়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে কনককে সাত (৭) দিনের রিমান্ড চেয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী সোমবার (৬ জানুয়ারী) শুনানির দিন ধার্য করেন বিজ্ঞ বিচারক।
গতকাল (২ জানুয়ারী) রাতে শাওন হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান কনক ওরফে মাহফুজুল হককে ঢাকা এয়ারপোর্টের ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই মামলায় নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির বলেন, গ্রেফতারকৃত কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত (৭) দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি আরো নিশ্চিত করে আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করে গ্রেফতারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপলক্ষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিল বের করলে তৎকালীন সময়ের পুলিশ সুপার (ওসি) গোলাম মোস্তফা রাসেল ওরফে অটো রাসেল নিজে উপস্থিত থেকে মিছিলে বাধা দিয়ে বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ একশন শুরু করে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনক একজন কন্সমস্টেবলের হাতে থাকা ‘চাইনিজ রাইফেল’নিয়ে গুলি করে। আর ওই গুলিতে যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। সাথে সাথে শাওন লুটিয়ে পরলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
ঘটনার পর পর শাওন হত্যায় ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম : মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন। মামলার আবেদনে পুলিশের ৪২ কর্মকর্তা-সদস্য ও আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ওই মামলা খারিজ করে দেয়ার দুই বছর পর ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলার মূল হোতা তৎকালীন সময়ের বিতর্কিত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল (সকল অটো রিকশা থেকে নিয়মিত ১৫ শত টাকা করে চাঁদা আদায় করায় পুরো নারায়ণগঞ্জে এসপি রাসেলকে অটো রাসেল বলেই টিপ্পনী কাটতো সকলেই) ওরফে অটো রাসেল ৫ আগষ্টের পর এমন অসংখ্য ঘৃন্য কর্মকান্ড করায় পলাতক অবস্থানে রয়েছে। গোলাম মোস্তফা রাসেল দেশ থেকে ভারতে (ওপাড়ে) পালিয়ে গেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে সর্বত্র।