মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন
বিপ্লব হোসেন ফারুক,গাজীপুরঃ গাজীপুর শ্রীপুর রেঞ্জের আওতায় সিমলাপাড়া ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা অভিনব কৌশলে বন ধ্বংসে উন্মত্ত সর্বনাশা খেলায় মেতে উঠেছেন।
জানা যায়, মাওনা,ধনুয়া, বাঁশ বাড়ী,রাতুরা এই চারটি মৌজায় ৪,৫০০ একর ভূমি নিয়ে সিমলাপাড়া বিটের অবস্থান, তার মাঝে মাওনা মৌজার ৯নং ওয়ার্ডের ৪টি গ্রাম সিমলাপাড়া বগির বাজার, বদলি ভাঙ্গা, কারুন বাজার উত্তর পাশে আক্তাপাড়া, শিরিশ ঘুড়ি, নতুন বাজার কাটুন ফ্যাক্টরি ,সিঙ্গার দীঘি,গভীর রাতে প্রতিনিয়ত গাছ কেটে বন উজার করে চলছে একদল বনদস্যু,আর গোপনে মুনাফা লুটছেন বিট কর্মকর্তা।মোড়ল পাড়া চায়না ফ্যাক্টরি এক একর তেতাল্লিশ শতাংশ জায়গা দখল করে বিনা বাধায় নতুন করে চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ,এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা আক্তার হোসেন কে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান আমরা ভিতরে চারা রোপন করেছি কিন্তু প্রশ্ন হল বিতরে বন বিভাগের ভূমি রেখে বনের জায়গার উপর দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ হলো কি ভাবে?এর কোন সদ উত্তর পাওয়া যায়নি বিষয়টি নিয়ে শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমানের সাথে পরিচয় দিয়ে মুটো ফোনে কথা বলতে গেলে বিষয়টি উত্থাপন করতেই ফোন কেটে দিলেন। বেলচালা মেম্বার বাড়ী বাজারে বিট কর্মকর্তাকে সালামী দিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ হয়েছে । ৪ নং ধনুয়া মৌজা সিরামিক ফ্যাক্টরির পূর্ব পাশে গেজেট ভুক্ত বনের জায়গায় হাবিব নামে এক ব্যক্তি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে ,রাতুরা মৌজা, মাওনা মৌজায় ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক দখলকৃত বন ভূমি দখলে অভিযুক্ত ইন্ডাস্ট্রিজের কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন দুই বছর ধরে উল্লেখিত বিটে দায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা, এ ব্যাপারে দৃশ্যমান অভিযুক্ত ফ্যাক্টরি সংখা কত তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিএফও অফিসে তথ্য নিতে, তাহার কাছে এমন কোন তথ্য নেই আর থাকলেও তা তিনি দিতে অক্ষম। তাছাড়া উল্লেখিত এলাকা গুলোতে গজারিয়া আকাশমনি বাগানের বিপুল পরিমাণ গাছ অবৈধভাবে কর্তন ও পাচারের সংবাদ পাওয়া যায় এবং তা দৃশ্যমান থাকলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তার নিকট তথ্য চাইলেও তিনি অপরগতা প্রকাশ করেছেন। টি এফ এফ কি তা তিনি জানেন না, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ অর্থ বছরে কোন বাগান টেন্ডারে বিক্রয় হয়েছে কি না তাও তিনি জানেন না। সুফলের আওতায় কতজন পার্টিসিপেন্ট রয়েছেন এর পরিসংখ্যান ও তার কাছে নেই। এই বিটের আওতায় সুফল ভোগী কতজনকে TFF এর লভ্যাংশের চেক ও চুক্তি নামা দলিল প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি ক্ষিপ্ততার সহিত বলেন এ তথ্য আমার কাছে নেই আপনি জানতে চাইলে রেঞ্জার সাহেবের কাছে জেনে নিতে পারেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বন বিভাগ যা দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ জড়িত, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা মানব জীবনে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত এক অপরিহার্য অংশ যা রক্ষায় দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য এক্ষেত্রে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এর ক্ষতির হিসাব নিকাশ জানতে চাওয়ায় উদাসীনতার পরিচয় বহন করেন তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যায়, যে বন ধ্বংসে তারা নিজেরাই দায়ী। নাম প্রকাশে অনেক অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গরা জোর দাবী জানিয়েছেন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহল যেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ( চলবে ধারাবাহিক প্রতিবেদন)