বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঞ্চল্যকর যুবদল কর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক উপ পরিদর্শক (দারোগা) মাহফুজুর রহমান কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ কর্তৃক কনককে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন শুনানির পর নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুমের আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাইউম খান রিমান্ডের মঞ্জুরের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, মাহফুজুর রহমান কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। শুনানি শেষে আজ আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
শাওন হত্যায় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে একটি র্যালী ছিল। সেই র্যালীতে মাহফুজুর রহমান কনক মরণঘাতি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে কনক। ওই গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন আহম্মেদ নিহত হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই মামলা নেয় নাই পুলিশ।
সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, ওই যুবদল কর্মী নিহত শাওনের ভাই মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মাহফুজুর রহমান কনককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে দুই পক্ষের রিমান্ড শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
শাওন হত্যা মামলায় ২ জানুয়ারি রাতে ১৬নং এজাহারনামীয় আসামি ডিবি পুলিশের সাবেক দারোগা মাহফুজুর রহমান কনক ওরফে মাহফুজুল হককে বর্তমান কর্মস্থল ঢাকা এয়ারপোর্ট ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তৎকালীন সময়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের উপস্থিতিতে ওই সংঘর্ষ চলাকালীন তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের হাতে থাকা ‘চাইনিজ রাইফেল’ থেকে ছোড়া গুলি যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এই শাওন হত্যায় মামলা গ্রহণ না করায় ২ বছর পর ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর নিহত শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মিলনের দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ৫২ জনকে। যাদের মধ্যে অন্যতম হোতা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল অন্যান্যদের মতো পলাতক রয়েছে।