রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে আগামীতে যে সাধারণ নির্বাচন হবে সেটিকে ইতিহাসের সেরা এবং ঐতিহাসিক করার পরিকল্পনা করছি। যাতে এ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) নরওয়ের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশকে তাদের পণ্যের একটি আঞ্চলিক বিতরণ কেন্দ্রে (হাব) পরিণত করার এবং বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে আগামীতে যে সাধারণ নির্বাচন হবে, সেটিকে ইতিহাসের সেরা এবং ঐতিহাসিক করার পরিকল্পনা করছি, যেন এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকে।
এরপর রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এশিয়ায় নরওয়েজিয়ান পণ্য বিতরণের জন্য বাংলাদেশকে একটি হাব হিসেবে ব্যবহার করুন, যাতে নরওয়ে থেকে আপনার লোক আনার প্রয়োজন না হয়। এসব কাজে আমাদের তরুণদের ব্যবহার করতে পারেন।
এ সময় তিনি নরওয়েজিয়ান টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম বিদেশি সংস্থা গ্রামীণফোনের উদাহরণ তুলে ধরেন, যা টেলিনর পরিবারের সবচেয়ে লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে।
আলাপের এক পর্যায়ে গুলব্র্যান্ডসেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, যাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দেশটির জোরালো সমর্থনের কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, অত্যধিক প্রয়োজনীয় সংস্কারের সূচনা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনার জন্য আপনার প্রচেষ্টার প্রতি নরওয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রশংসাও করেন।
তিনি বলেন, জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পে এবং সবুজ জ্বালানি পরিবর্তনে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী নরওয়ে। এছাড়া ফিলিস্তিন ইস্যু, আন্তর্জাতিক কর এবং প্লাস্টিক দূষণ নিয়েও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ আছে নরওয়ের।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানেও নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। নরওয়ে রাষ্ট্রদূতকে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় নরওয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের আপনার সহায়তার প্রয়োজন।