মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
কোহিনূর আক্তার, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এবং আশেপাশের এলাকায় কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম।
রবিবার ১২ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে “ওরাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন”উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ,টি,এম,সাইফুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন”””সাম্প্রতিক সময়ে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী সহ অংশীজনদের সহায়তায় বৃহৎ পরিসরে এ ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির, উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হৃীলা,রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড, বান্দরবানের নাইক্কাছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ থেকে ৩ নং ওয়ার্ডের ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ও স্হানীয় জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন।যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন ও স্হানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন।
২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইনে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ১ হাজার ৬০৫ টি দলে বিভক্ত হয়ে ৩ হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াবেন। পাশাপাশি স্হানীয় জনগোষ্ঠীদের জন্য ২৭২ টি দলের ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দিবেন।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা:টিটু কান্তি শীল জানান ” জেলায় এখন পর্যন্ত কলেরা সনাক্ত হওয়া কোন রোগী মারা যায় নি,সবাই সুস্থ আছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ বলেন’ইউভিকল এবং ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এ টিকার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের এ টিকা দেওয়া হবে না।কারও কারও এই টিকা খাওয়ার পর বমি বমি ভাব,পেটব্যথা, ডায়রিয়া সহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে তবে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেরে উঠবে।