বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ মঙ্গলবার ১৪ ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকায় হযরত মতিন শাহ র বাৎসরিক ওরস ও বাউল গান অনুষ্ঠিত হয়ছে। বাউল গান বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত সংগীতের একটি অনন্য ধারা। বাউল গান বাঙ্গালী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এদেশে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছে অনেক নামকরা বাউল শিল্পী।এটি বাউল সম্প্রদায়ের নিজস্ব সাধনগীত যা বাংলার মানুষের আত্মার খোরাক। বাউল গানের আয়োজন হলে প্রাণের টানে ছুটে যেতেন ভক্তরা গণ।
বাউল গান শুনতে পেরে খুশি সাংস্কৃতিক প্রেমিরা। এমন আয়োজনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা বিনষ্ট হয়ে সকলের মাঝে সাম্য ফিরে আসবে এমনটি মনে করছেন তারা। তবে প্রযুক্তি ও সময়ের পরিবর্তন আর আকাশ সংস্কৃতির দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী বাউল গান। এ গানকে ধরে রাখতে বন্দর উপজেলায় আয়োজন করা হয় বাউল গানের আসর “শিকড়ের গান”।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাউল শিল্পী রুজিনা সরকার ও রাসেল প্রধান দেওয়ান এ আসরে গান পরিবেশন করেন। এ সময় গানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বাদ্যযন্ত্রে হারমনিতে ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী তাজেল দেওয়ান, পেডমাস্টার রবিন, ঢোল বাদক বাবুল, মন্দিরা বাদক শিপন,ও বাশিতে ছিলেন আবদুল হান্নান।এ গানের মাধ্যমে আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি আর মানুষের জীবন জিজ্ঞাসা একাত্ম হয়ে ফুটে ওঠে। আর এমন আয়োজনে বাউল গান গাইতে পেরে খুশি শিল্পীরা।
এ বাউল গান শুনতে জেলার বন্দর উপজেলার কদমতলী হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ।মন্ত্রমুগ্ধের মত বাউল গান শোনেন দর্শনার্থীরা।ইট-পাথরের শহুরে জীবনে কিছুটা হলে জীবন দর্শন পান। সম্প্রদায়িকতাকে দূরে ঠেলে সকলের মাঝে সাম্যতা রাখতে বারবার এমন আয়োজনের দাবী সাংস্কৃতিক প্রেমীদের।গান শুনতে আসা ওসমান গনি, কালাম, আবজাল, বলেন, বাউল গান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে অকৃত্রিমভাবে জড়িয়ে আছে। এ দেশের কৃষ্টি কালচারের সাথে বাউল সংগীতের পদচারণা আমরা প্রতিটি এলাকায় দেখতে পাই ।