শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্য ! আর এই অভয়ারণ্যে যা খুশি তা করা যায় কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই। আর সেই অভয়ারণ্যে ওসমানীয় সাম্রাজ্যে কত অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার হিসাব করা কঠিন । সেই বিশাল অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ওসমান পরিবারের শালকখ্যাত তানভীর আহমেদ টিটুর অপরাধের আমলনামা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সকলেই জানেন।
ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, ক্লাবের অর্থনৈতিক কেলেংকারী, ভিওআেইপি ব্যবসা, বিটিআরসি কে ব্যবহার করে লুটপাটসহ সকল ধরনের অপরাধের হোতা ছিলেন এই টিটু। সেই টিটু আওয়ামীলীগের শাসনামলে বিটিআরসি কে ব্যবহার করে সাংবাদিকদের নাজেহালও কেরার অভিযোগ রয়েছে । আর সেই টিটুর অন্যতম ক্যাশিয়ার ছিলেন নগরীর বাপ্পি চত্তর এলাকার এক সময়ের বাসের হেলপার ও ড্রাইভারপুত্র এম এম রানা।
ওসমান পরিবার ও টিটু চক্রের এতো অপরাধ ধামাচাপা দিতে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিসিবির পরিচালক হিসিবে নির্বাচিত করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন টিটু।
এই তানভীর টিটু সরাসরি মাদক ব্যবসার গডফাদার হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও মেরী এন্ডারসনে একই কায়দায় মদের ব্যবসা করতে ইজারা দিয়ে আমলাপাড়ার সুজিত সাহাকে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান।
৫ আগষ্টের পর টিটু ও সুজিত সাহাসহ ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অপরাধীরা পলাতক থাকলেও ক্যাশিয়ারখ্যাত ড্রাইভারপুত্র এম এম রানা সেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)র এবারের সভাপতি ফারুক আহমেদকে ব্যবহার করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলি চালানোর ঘটনায় অসংখ্য মামলার আসামী হয়েও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জে।
এমন ঘটনার পর বিসিবি তে মধু খেতে ঝাঁকে ঝাঁকে খারাপ মৌমাছি আসে”-বলেছিলেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) থেকে নাজমুল হাসান পাপনের পলায়নের পর বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ। তারপর থেকে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন তিনি। সেই বিতর্কের একটি এখন নতুন করে যুক্ত হচ্ছে বিসিবিতে সেই পলাতক পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুর অপরাধ সাম্রাজ্যের ক্যাশিয়ার এস.এম রানার অবাধ বিচরণ।
সভাপতি ফারুক আহমেদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টিটুর সাথে থেকে গুলি চালানো এস এম রানার অবাধ বিচরণ তুলেছে সমালোচনার ঝড় সর্বত্র । সম্প্রতি সিলেটে বিসিবি সভাপতি সাথে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের অন্যতম চর এই রানাকে। শুধু তাই নয় মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রেসিডেন্ট বক্সেও দেখা গেছে ক্যাশিয়ারখ্যাত রানাকে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জুলাই আগষ্টের বিপ্লবের ছাত্র জনতার আন্দোলনে মামলায় গুলি চালানোর অভিযোগে যুক্ত ছিলেন টিটুর অন্যতম ক্যাশিয়ার এই রানা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জের ক্লাবের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন এস এম রানা। কথিত আছে এস এম রানা নারায়ণগঞ্জের অলিখিত মাফিয়া শামীম ওসমানেরও তথ্য আদান প্রদানকারী সহচর। সম্প্রতি বিপিএল চলাকালে ভিআইপি বক্সে ফারুক আমাদের পাশে দেখা যায় এসএম রানাকে।
ব্যাপক গুঞ্জন ও সমালোচনা আছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সাথে এস এম রানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। সেই সুবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ছোড়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই এসএম রানা ফারুক আমাদের সাথে অবাক বিতরণ করছে।
অনেকেই আরো বলেছেন, অত্যান্ত ধূর্ত এই রানা কৌশলে নারায়ণগঞ্জের ইজম কে ব্যবহার করে ফারুক আহমেদকে বিভ্রান্ত করে বিসিবির সকল কর্মকান্ডের খবর পাচার করতেই রানা কৌসূূলী ভূমিকা পালন করতে এই ফারুক কে নতুন মিশন হিসেবে ব্যবহার করছে। মূলত এই রানা এখন বিসিবি কে ব্যবহার করে অর্থ ও তথ্য পাচারকারী হিসেবেই কাজ করছে। যা তদন্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরী।