বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা চন্দ্রগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে ধরা কপত-কপতী, অতপর বিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরুর আদেশ, পরোয়ানা পীরগঞ্জে ওভার ব্রীজ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন মহাসড়ক অবরোধ ওসমানীনগরে ব্র্যাকের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টার-বিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জনের লাশ উদ্ধার তিন দিনের রিমান্ডে শ্রমিক লীগের সেই দুই নেতা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় মিলছে

সাহাব উদ্দীন,বিশেষ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জঃ পরিচয় মিলেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের। মরদেহটি অপহৃত ভ্যানচালক হাবিবুর রহমানের।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতনগর ইউনিয়নের শীষমহল আমতলা এলাকার স্বপন সরকারের ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে অপহরণের পাঁচ দিন পর পচা ও বিকৃত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবা আজিজুল হক ছেলের পরনের জামা-কাপড় ও পায়ের আঙুল দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন।

জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অপহরণকারী দলের দুই সদস্য কয়েকদিন আগে স্বপন সরকারের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়। সেখানেই তারা হাবিবুর রহমানকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এর আগে,(২৫ জানুয়ারি) হাবিবুরের বাবা আজিজুল হক তার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার দিঘল হাইল্লা গ্রামে। তবে তারা সপরিবারে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সাক্কু মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিহত হাবিবুর এক মাস আগে গ্রাম থেকে বাবার কাছে আসেন এবং ভ্যান চালানো শুরু করেন।

গত ২৪ জানুয়ারি অপহরণকারীরা হাবিবুর রহমানের মোবাইল দিয়ে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আজিজুল হক বলেন, “আমি ও আমার ছেলে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই, এত টাকা কোথায় পাব?” এরপর থেকেই অপহরণকারীরা হাবিবুরের মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

পরদিন আজিজুল হক থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা, ফতুল্লা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ওয়াসিম জানান, “প্রযুক্তির মাধ্যমে হাবিবুরের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে মোবাইল বন্ধ থাকায় সময় লেগেছে।”

নিহতের বাবা আজিজুল হক বলেন, “অভিযোগ করার পর পুলিশ যদি তৎপরতা বাড়াত, তাহলে হয়তো আমার ছেলে বেঁচে যেত। আমরা গরিব মানুষ, পরিশ্রম করে খাই। তারপরও অপহরণকারীরা আমার ছেলেকে হত্যা করল।”

তিনি আরও দাবি করেন, “ফতুল্লায় অপহরণকারী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তারা সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। পুলিশ বিষয়টি জানে, কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। আমি এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “যে বাড়িতে লাশ পাওয়া গেছে, সেই বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়ার পরিচয় না জেনেই বাসা ভাড়া দিয়েছেন। ফলে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে দেরি হয়েছে। তবে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।”

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com