বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
সাহাব উদ্দীন,বিশেষ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে মহানগর যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি।
গত সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ অন্যান্য নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় বাসমতি নামের একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যা সিটি করপোরেশনের জায়গায় লিজ নিয়ে করা হয়েছে। বর্তমানে এই রেস্টুরেন্টের জায়গাটি লিজ নিয়েছেন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। যিনি সম্পর্কে সিটি করপোরেশনের এক সময়ের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ানের শ্বশুর।
আর গত ৫ আগস্টের পর থেকেই রেস্টুরেন্টের এই জায়গাটির লিজ নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি। কিন্তু নানা প্রক্রিয়ায় এটি হয়ে উঠছিল না।
পরে সোমবার বিকেলে মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি তার ৩০-৩৫ জন অনুসারী নিয়ে নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে জানতে চান, লিজের বিষয় কি হলো? এভাবে একপর্যায়ে মন্টি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর রেগে যান। সেইসঙ্গে টেবিল চাপড়িয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন
এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেখে নিবেন বলে হুমকিও দেন।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ টিপুসহ অন্যান্য নেতাদের খবর দেয়া হয়। পরে টিপু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সবশেষ মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দুঃখিত বলে চলে আসেন।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি বলেন, ‘একটা ব্যাপার নিয়ে ছোটখাটো তর্কাতর্কি হয়েছিল। এটা নরমাল বিষয়। যেমন চলতি পথে কথায় কথায় তর্ক হয়ে থাকে, এরকম। আর কিছু না।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আরেকজন যুবদল নেতা। তাদের মধ্যে হটটক হয়েছে। আমি তা মিটমাট করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘একটা হালকা বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পরে ক্ষমা চেয়ে চলে গেছেন। কোনো সমস্যা হয়নি।