বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
মোঃ আমিনুর রহমান,ঢাকাঃ নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালীতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এ মাহফিল,যার আয়োজন করেছে বারুয়াখালি মাহফিল পরিচালনা কমিটি।এ তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে যোগ দিবেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে মাহফিল। সকাল থেকেই সেখানে থাকবেন মাহফিলের প্রধান বক্তা আজহারী। বাদ জোহর বয়ান করবেন তিনি।
আয়োজকদের অনুমান, মাহফিলে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।
এদিকে মাহফিলকে ঘিরে চলছে কর্মযজ্ঞ। ইতোমধ্যে বারুয়াখালীতে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু করেছে আয়োজকরা। চলছে ওযুখানা ও টয়লেট নির্মাণের কাজও। আজহারীর আগমণের খবরে খুশি স্থানীয়রা।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, আজাহারীর মত এত বড় বক্তা বারুয়াখালীতে আসবে এটা আমাদের সৌভাগ্য। লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে তাই বিশাল জমির দরকার ছিল। আমরা বিনামূল্যে নিজেদের কৃষি জমি মাহফিলের জন্য দিয়ে দিয়েছি। হয়তো এ মৌসুমে ফসল পাব না। এতে আমাদের বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় মাহফিল ভালোভাবে শেষ হবে।
আয়োজক কমিটির সহসভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, শ্রোতাদের জন্য মোট সাতটি মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরমধ্যে ছয়টি মাঠ শুধু নারীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আরও ১২টি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সাতটি মাঠে এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে শ্রোতাদের জন্য অস্থায়ী ওযুখানা ও টয়লেট নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থাকলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা। এছাড়া আজহারীর মাহফিলকে কেন্দ্র করে পোস্টারিং ছাড়াও অনলাইন, অফলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চলছে।
বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, ঐতিহাসিক এ মাহফিলকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাহফিলে আগতের নিরাপত্তায় কাজ করবে। পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাহফিলকে সুন্দর করতে কাজ করবে। মহিলা শ্রোতাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্বেচ্ছায় কাজ করছে। সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে মাহফিল শেষ হবে আশা করি।
এ বিষয়ে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, কয়েক লাখ লোক সমাগমের কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও মাহফিল আয়োজক কমিটি দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন। জনভোগান্তি এড়াতে ও মাহফিলে আগতদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আয়োজক কমিটির চাহিদা মোতাবেক দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করবে সেখানে।