বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বের শিল্প উন্নত ও উদীয়মান দেশগুলোর জোট জি-২০-এর সম্মেলনে যোগ দেবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণের আইন নিয়ে ওয়াশিংটন ও প্রিটোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
কিছু পরিস্থিতিতে ‘ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জমি বাজেয়াপ্ত’র অনুমতি দিয়ে আইন পাস করায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহায়তা বন্ধের হুমকি দেওয়ার কয়েকদিন পর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রুবিও এ ঘোষণা দিলেন।
২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী ২০-২১ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গে এ বৈঠকের আয়োজন করবে।
রুবিও এক্স পোস্টে লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা খুব খারাপ কাজ করছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা। ‘সংহতি, সমতা, স্থায়িত্ব’ প্রচারের জন্য জি-২০ এবং জলবায়ু পরিবর্তন।
তিনি আরও বলেন, আমার কাজ হচ্ছে আমেরিকার জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়া, করদাতাদের অর্থের অপচয় করা বা আমেরিকাবিরোধিতাকে প্রশ্রয় দেওয়া নয়।
রুবিওর এই ঘোষণাকে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা হতাশার সঙ্গে দেখছেন। জো বাইডেনের প্রশাসনে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করা অ্যান্ড্রু বেটস এক্স পোস্টে লিখেছেন, এই দুর্বলতা প্রদর্শন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং চীনকে লাভবান করছে।
এর আগে, গত সোমবার ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘জমি বাজেয়াপ্ত’ এবং ‘নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের’ সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন।
তবে রামাফোসা বলেন, আইনটি সম্পত্তি ‘বাজেয়াপ্ত করার দলিল’ নয়। এটি ‘সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক আইনি প্রক্রিয়ার’ অংশ, যা ‘ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গতভাবে’ জমিতে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করবে।
গত মাসে সই করা আইন অনুসারে, ন্যায়সঙ্গত এবং জনস্বার্থে সরকার ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জমি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। যেমন: কোনঘ সম্পত্তি অব্যবহৃত রয়েছে এবং মালিকের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে অক্ষম হলে। সরকার এখনো আইনে কোনো জমি বাজেয়াপ্ত করেনি।