শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলি নিজেদের প্রস্তুতি জানায়। ইউরোপের নেতারা শঙ্কা প্রকাশ করেন যে, মস্কোর সঙ্গে শান্তি চুক্তি না হলে কিয়েভের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় প্যারিসে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আহ্বানে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আহ্বানে প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই বৈঠক এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে সৌদি আরবে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বৈঠকে ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল মার্ক রুট বলেন, এই সংলাপের মূল বার্তা হলো- ইউরোপ প্রস্তুত ও আগ্রহী। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে নেতৃত্ব দিতে আমরা প্রস্তুত।
এক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা বৈঠকের পর জানান, আমরা ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত, তবে এটি নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের মাত্রার ওপর।
তিনি আরও বলেন, শক্তির মাধ্যমে শান্তির নীতিতে আমরা ট্রাম্পের সাথে একমত। তবে আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিচুক্তি একসঙ্গে হওয়া জরুরি, না হলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে তিন ঘণ্টার এ আলোচনায় ইউক্রেন সংকটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর ইউরোপের নেতারা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউক্রেনকে পাশে না রেখে রাশিয়ার সাথে একতরফা চুক্তির দিকে এগোচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তিনি ম্যাক্রোঁর সাথে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, একটি দুর্বল যুদ্ধবিরতি আসলে রাশিয়ার জন্য নতুন আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের ইউরেশিয়া সেন্টারের ফেলো মেলিন্ডা হারিং বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কৌশল ইউরোপের জন্য অপ্রত্যাশিত। দীর্ঘদিন ধরে নীতি ছিল ‘ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত ইউক্রেন ছাড়া হবে না’, কিন্তু এখন দৃশ্যপট বদলাচ্ছে।”
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি