শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরের পরই বড় ধাক্কা। ১৮২ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিল আমেরিকা। রবিবারই ইলন মাস্কের অধীনে থাকা সরকারি দক্ষতা দফতর (DOGE)-র তরফে ভারতীয়দের ভোটমুখী করতে ২১ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক অনুদান বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন। মার্কিন নাগরিকদের করের টাকা কেন ভারতীয়দের ভোটমুখী করতে খরচ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
যেখানে ভারত চড়া শুল্ক আদায় করছে সেখানে তাদের অনদান দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত এবং মোদিকে সম্মান করলেও দেশটির জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে চান না ট্রাম্প।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুদান বাতিলের নথিতে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ২ কোটি ১০ লাখ ডলার কেন ভারতকে দিচ্ছি? ওদের অনেক টাকা আছে। আমাদের থেকে অনেক কর নেয় ভারত। ভারতের করের পরিমাণ বেশি বলে আমরা সে ভাবে বাণিজ্য করতে পারি না। ভারত এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি।
কিন্তু তাই বলে ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার?’
এদিকে এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপির অমিত মালব্যর দাবি, এই অনুদানের কথা তার জানা ছিল না। ভারতের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের সূচনা কংগ্রেসের হাত ধরে বলেও অভিযোগ করেন এবং বিজেপি এই টাকায় লাভবান হয়নি বলেও দাবি করেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মালব্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেও মোদি সরকারের আমলে চালু হওয়া ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’ আমেরিকার অনুদান রয়েছে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার কুরেশি জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন এই ধরনের কোনো বিদেশি অনুদান ভারতে আসেনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও কাউন্সিলেরও সদস্য সঞ্জীব সান্যাল যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)-কে ‘মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই বিপুল পরিমাণ মার্কিন অনুদানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরো জানতে চান, ‘ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই টাকা কার হাতে গিয়েছে, তা জানতে আমি আগ্রহী।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, এবিপি আনন্দ